সম্পর্ক গড়তে যতটা সময় লাগে, তার চেয়ে অনেক বেশি যত্ন নিতে হয় সেই সম্পর্ককে সুন্দর করে তুলতে আর বাঁচিয়ে রাখতে। সম্পর্ক যখন অভ্যাসে পরিণত হয়, তখন অনেক সময়ই তা একঘেয়ে হয়ে ওঠে। আর এই একঘেয়েমি থেকেই দূরত্ব বাড়তে থাকে সম্পর্কে। এই লক্ষণগুলো দেখলে বুঝবেন আপনাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে।
সেক্স
সম্পর্কে দূরত্ব বাড়তে থাকলে বিশ্বাস কমতে থাকে। যার ফলে শারীরিক সম্পর্কেও দূরত্ব বাড়ে। কারণ, শারীরিক সম্পর্কের সময় একে আপরের কাছে দুর্বলতা প্রকাশ পায়। যৌনতা কমে আসা সম্পর্কে দূরত্ব বা়ড়ার প্রথম লক্ষণ বলা যেতে পারে।
কী চলছে যানেন না
সম্পর্কে থেকেও একে অপরের জীবনে কী চলছে না জানা, খবর না রাখা অস্বাভাবিক। কারও সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে হলে আমরা প্রথমেই কথা বলা বন্ধ করে দিই। মনোবিদরা বলে থাকেন, যে কোনও সম্পর্ক নষ্ট করার প্রধান অস্ত্র হল কমিউনিকেশন বন্ধ করে দেওয়া। তাই যদি দেখেন দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ, কথার আদান-প্রদান কমে আসছে, বুঝতে হবে দূরত্ব বাড়ছে।
প্রাধান্য
ভালসাবার মানুষদের আমরা যেমন প্রাধান্য দিই, তেমনই তাদের কাছ থেকে গুরুত্ব পেতেও অভ্যস্ত হয়ে থাকি। সম্পর্কে দূরত্ব বাড়তে থাকলে একে অপরের কাছে প্রাধান্য কমতে থাকে। যদি বুঝতে পারেন সঙ্গীর জীবনে আপনার প্রয়োজনীয়তা কমে আসছে, তা হলে একে অপরের প্রতি আরও বেশি যত্নশীল হওয়ার সময় এসেছে।
এক সঙ্গে মজা করা
এখন আর আপনার সঙ্গী আপনার সঙ্গে মজা করতে, এক সঙ্গে সময় কাটাতে, উপভোগ করতে বিশেষ উত্সাহ দেখান না? একে অপরের সঙ্গে সময় কাটালেও সেই আনন্দের অনুভূতি এখন আর আসে না? সম্পর্ক একঘেয়ে হয়ে উঠলে দূরত্ব বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন: এই ৫ ভাবে মিউজিক আমাদের ব্রেইন ভাল রাখে
ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা
একে অপরের সঙ্গে থাকার স্বপ্ন দেখলে স্বাভাবিক ভাবেই দু’জনে মিলে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করি আমরা। আপনারা কি একে অপরকে ছাড়াই নিজেদের ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা করছেন? নিজেদের প্ল্যানিংয়ে কি একে অপরের জায়গা রয়েছে? দূরত্ব বাড়তে থাকলে আমরা বুঝে ওঠার আগেই একে অপরের জীবন থেকে মুছে যেতে থাকি।