কোনও কিছুই পরিকল্পনামাফিক চলছে না! যা ভেবেছিলেন, তা হচ্ছে না। আর যা ভাবেননি, তা-ই হচ্ছে। অতি বিচক্ষণ মানুষের জীবনেও এমন একাধিক দিন আসে। যে দিন কোনও কিছুরই হিসাব মেলে না। সব ওলট পালট হতে থাকে। আবার কারও জীবনে এমন পরিস্থিতি চলতে থাকে বেশ কয়েক দিন। এমন পরিস্থিতিতে মেজাজ ঠিক রাখা এবং সর্বোপরি নিজেকে শান্ত রাখাটা সব থেকে বেশি জরুরি। কিন্তু অশান্তির মধ্যে নিজেকে ঠিক রাখবেন কী ভাবে। ৭টি উপায় রয়েছে, যা অশান্তির মধ্যেও অন্তত কয়েক মুহূর্তের জন্য মুক্তি দেবে আপনাকে। সময় দেবে সুস্থ মাথায় চিন্তাভাবনা করার।
১। বাইরে বেরিয়ে পরুন
যা করছেন, তা থেকে কিছু ক্ষণের বিরতি নিন। বাইরে খোলা হাওয়ায় বেরোন। দরকার হলে কিছু ক্ষণ লক্ষ্যহীন হাঁটুন। সেই সুযোগ না থাকলে অন্তত বারান্দায় যান বা এমন কোনও জায়গায় যান, যাতে চারপাশের পরিবেশ বদলায়, যেখানে সূর্যের আলো বা খোলা হাওয়া আছে। প্রকৃতি অনেক সময়েই ম্যাজিক করতে পারে।
২। গুছোতে পারেন
ঘর বা বসার জায়গা বা একটা আলমারি গুছোতে পারেন। হাতে ১০-১৫ মিনিট সময় নিয়ে জঞ্জাল সরিয়ে দরকারি জিনিস গুছিয়ে রাখুন। অফিসে থাকলে অফিসের ডেস্ক বা ড্রয়ারও গুছোতে পারেন। দেখবেন নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে ফিরে পাচ্ছেন। পরিচ্ছন্ন জায়গা, মনকেও পরিচ্ছন্ন করে। শান্তি আনে।
৩। যাঁকে বিশ্বাস করেন, ফোন করুন
ভালবাসার মানুষ বা প্রিয়জন, যাঁকে বিশ্বাস করেন, তাঁকে ফোন করুন। কথা বলুন। তিনি আপনাকে প্রয়োজনীয় ভরসা জোগাতে পারেন। মন ভাল করে দিতে পারেন।
৪। হাসুন, নকল হাসিও কাজে দেয়
মজার ভিডিয়ো দেখুন বা মজাদার কোনও স্মৃতি মনে করুন। দরকার হলে জোর করে হাসুন। হাসলে আমাদের ‘সুখী’ হরমোন এনডরফিন নিঃসরণ হয়। যা স্বাভাবিক ভাবে মন ভাল রাখতে সাহায্য করে।
৫। শ্বাস-প্রশ্বাসে নজর দিন
চারপাশের ভাবনা থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে শুধুমাত্র নিজের শ্বাসপ্রশ্বাসে মনোনিবেশ করুন। দীর্ঘ এবং গভীর শ্বাস নিন। এক দিকে গভীর শ্বাস নেওয়ার প্রক্রিয়া আপনার শারীরিক উত্তেজনা প্রশমিত করবে। অন্য দিকে, শ্বাসে মনসংযোগ করলে মানসিক ভাবেও আপনি চারপাশের উত্তেজনা থেকে নিজেকে সরাতে পারবেন।
৬। গান বা যন্ত্রসঙ্গীত শুনুন
সঙ্গীতের ক্ষমতা অনেক বেশি। সঙ্গীত— তা গান হোক বা যন্ত্রসঙ্গীত, দ্রুত মেজাজ বদলে দিতে পারে। প্রত্যেকেরই মন ভাল করার কিছু না কিছু গান থাকে। মন ভাল না থাকলে সেই গান শুনলে দ্রুত মেজাজ বদলাবে।
৭। ৩টি ভাল কথা লিখুন
একটি খাতা আর পেন নিন। সাদা পাতায় নিজের জীবনের তিনটি ভাল জিনিস লিখুন। তিনটি বিষয়, যার জন্য আপনি জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞ বোধ করেন। খারাপ জিনিস নিয়ে ভাবার বদলে জীবনের ভাল দিকগুলিকে গুরুত্ব দিলে নেতিবাচক মনোভাব কাটিয়ে উঠতে পারবেন।