Advertisement
E-Paper

ম্যালেরিয়ায় মৃত রাইপুরের কিশোর

সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু হল এক কিশোরের। মৃতের নাম সুব্রত মাহাতো (১৭)। তার বাড়ি রাইপুর থানার বামুনগোড়া গ্রামে। বুধবার সকালে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। জ্বর নিয়ে মঙ্গলবার সকালে রাইপুর গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ওই কিশোরকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৫
মৃত সুব্রত মাহাতোর গ্রামে চলছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। —নিজস্ব চিত্র।

মৃত সুব্রত মাহাতোর গ্রামে চলছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। —নিজস্ব চিত্র।

সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু হল এক কিশোরের। মৃতের নাম সুব্রত মাহাতো (১৭)। তার বাড়ি রাইপুর থানার বামুনগোড়া গ্রামে। বুধবার সকালে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। জ্বর নিয়ে মঙ্গলবার সকালে রাইপুর গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ওই কিশোরকে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে বাঁকুড়া মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতাল সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “দিন কয়েক আগেই সুব্রত মাহাতো নামে ওই স্কুলছাত্রটি সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল। তার রক্তে ফ্যালসিফেরাম প্লাসমোডিয়ামের জীবানু মিলেছে।” বৃহস্পতিবার সকালে ওই গ্রামে মেডিক্যাল টিম যায়। তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। বেশ কয়েকজনের রক্ত পরীক্ষার জন্যও নেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রের খবর, সুব্রত মাহাতো নামে ওই কিশোর রাইপুর কৃষ্ণমোহিনী সরখেল স্মৃতি হাইস্কুলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত। সুব্রতর বাবা দেবকুমার মাহাতো ক্ষুদ্র চাষি। দেবকুমারবাবুর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। সুব্রত ছিল বড়। পরিবার সূত্রের খবর, গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রানিবাঁধের ধাদকীডিহি গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল সুব্রত। সেখানেই তার জ্বর হয়। বাড়ি ফিরে আসার পরে স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখিয়ে ওষুধ খেলেও সে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেনি। মাঝে মধ্যেই তার জ্বর আসছিল। তার বাবা দেবকুমারবাবুর কথায়, “আত্মীয় বাড়ি থেকে অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পরেই সুব্রতকে ডাক্তার দেখানো হয়েছিল। কিছুদিন সে সুস্থ ছিল। পরে ফের ওর জ্বর আসে। উপসর্গ বলতে গা ও হাত-পা ব্যথা এবং বমি করছিল। সোমবার থেকে জ্বর ব্যাপক বেড়ে গেলে মঙ্গলবার সকালে রাইপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে নিয়ে গিয়েও ছেলেকে বাঁচানো গেল না।”

এ দিকে, ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ওই কিশোরের মৃত্যুর পরে নড়েচড়ে বসে ব্লক স্বাস্থ্যদফতর। এ দিন সকালে রাইপুর গ্রামীন হাসপাতালের চিকিৎসক বিমান মণ্ডল, ব্লক স্যানেটরি ইন্সপেক্টর অশোক চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ১০ জনের মেডিক্যাল দল বামুনগোড়া গ্রামে যায়। গ্রামবাসীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন তাঁরা। শিশু, মহিলা-সহ বেশ কয়েকজনের রক্ত নেওয়া হয়। রাইপুরের বিএমওএইচ কুণাল চক্রবর্তী জানান, কিছুদিন আগে ওই গ্রামের কয়েকজন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরে ওই কিশোরকে তার পরিবারের লোকেরা অনেক দেরিতে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। তাই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে বিশেষ কিছু করার ছিল না। তিনি বলেন, ‘‘এ দিন সকালে ওই গ্রামে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছিল। গ্রামে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব রুখতে ফোকাল স্প্রে করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে রক্ত নেওয়া ও পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে স্লাইড ও কিট নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই গ্রামে গিয়েছিলেন।” বিএমওএইচ জানান, প্রাথমিক ভাবে ওই গ্রামে আর কারও রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু মেলেনি। অনেকেই রক্ত পরীক্ষা করাতে চাইছিলেন না। স্বাস্থ্যকর্মীরা বোঝানোর পরে তাঁরা রাজি হন। সামান্য জ্বর হলেও গ্রামবাসী যাতে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করান সে জন্য বলা হয়েছে।

cerebral malaria Bankura medical college raipur doctor blood test ranibandh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy