Advertisement
E-Paper

দিল্লি থেকে এল ছাড়পত্র, খাতড়ায় খুলছে ব্লাডব্যাঙ্ক

অবশেষে চালু হচ্ছে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক। দীর্ঘদিন পরে মহকুমা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু হওয়ার খবরে তাই খুশি বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের মানুষ। খাতড়া হাসপাতালের সুপার রমেশ কিস্কু বলেন, “২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু হওয়ার কথা ছিল। এর জন্য আলাদা ভবন ও পরিকাঠামো তৈরি এবং কর্মী নিয়োগ হলেও কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছ থেকে এই ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু করা করার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৫ ০৪:৩৮

অবশেষে চালু হচ্ছে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক। দীর্ঘদিন পরে মহকুমা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু হওয়ার খবরে তাই খুশি বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের মানুষ। খাতড়া হাসপাতালের সুপার রমেশ কিস্কু বলেন, “২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু হওয়ার কথা ছিল। এর জন্য আলাদা ভবন ও পরিকাঠামো তৈরি এবং কর্মী নিয়োগ হলেও কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছ থেকে এই ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু করা করার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি। ফলে তা চালু করা যায়নি। বৃহস্পতিবার দিল্লির ড্রাগ কন্ট্রোল অফিস থেকে ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু করার লিখিত অনুমতিপত্র আমার কাছে এসে পৌঁছেছে। এ বার এই ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু করা যাবে।’’

২০০৬ সালে খাতড়া মহকুমা হাসপাতাল চালু হয়। কিন্তু এই হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক না থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছেন রোগীরা। রক্তের জন্য অনেক রোগীকেই বাধ্য হয়ে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি জঙ্গলমহলের থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের রক্ত নেওয়ার জন্য কষ্ট করে সুদূর বাঁকুড়া সদরে ছুটে যেতে হচ্ছে। খাতড়া হাসপাতালে তাই ব্লাড ব্যাঙ্ক তৈরির দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। মহকুমা হাসপাতালে এই ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু হলে এই সমস্যা অনেকটাই দূর হবে বলে আশাবাদী সকলেই। প্রগেসিভ ডক্টরস অ্যাসোশিয়েশনের রাজ্য কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জয়মাল্য ঘর বলেন, “জঙ্গলমহলের বহু মানুষকে রক্তের জন্য প্রতিদিন বাঁকুড়ায় ছুটে আসতে হচ্ছে। তাই আমাদের দাবি ছিল, খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক তৈরি করা। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দাবি পূরণ করেছেন। দেড় বছর আগে এই ব্লাড ব্যাঙ্ক উদ্বোধন করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমতিপত্র দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকায় তা চালু করা যায়নি। এ বার এই ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু হলে জঙ্গলমহলের মানুষ খুবই উপকৃত হবেন।’’ তিনি জানান, ব্লাড ব্যাঙ্ক সচল রাখার জন্য আগামী ১৭ মে মহকুমা হাসপাতালে একটি রক্তদান শিবির করা হবে। ওই শিবিরে জেলার অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রক্তদান করবেন।

হাসপাতালের সুপার জানান, ব্লাড ব্যাঙ্কে ৩০০ ইউনিট রক্ত মজুত রাখা যাবে। ব্লাড ব্যাঙ্কের জন্য তিন জন করে চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ান, দু’জন নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত মজুত থাকলে রক্তের জন্য রোগীদেরকে আর অন্যত্র রেফার করতে হবে না বলেও তাঁরা আশা। প্রশাসন সূত্রের খবর, আগামী ১২ মে বাঁকুড়া জেলা সফরে এসে রিমোটে এই ব্লাড ব্যাঙ্কের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

khatra blood bank delhi hospital bankura medical college
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy