ফুলুরি হোক বা বেগুনি, ভাজাভুজির সময় মা, ঠাকুরমাদের দেখে থাকবেন বেসনের মিশ্রণে এক চিমচে খাওয়ার সোডা মিশিয়ে দিতে। তাঁরা বলেন, এটি মেশালে চপ, বেগুনির মতো ভাজাভুজি হয় একটু ফুলো এবং মুচমুচেও। পাড়ার মুদির দোকান থেকে ঠোঙায় করে কিনে আনা হত সাদা গুঁড়োর মতো সোডা। কিন্তু এই সোডা আর কেক, পাউরুটি বানাতে ব্যবহার করা বেকিং সোডা কি একই? এমন প্রশ্ন থাকে অনেকের মনেই।
বেকিং সোডা: সাদা গুঁড়োর মতো দেখতে বেকিং সোডার রাসায়নিক নাম সোডিয়াম বাই কার্বনেট। সাধারণত এই উপাদান অ্যাসিড জাতীয় কোনও কিছুর সংস্পর্শে এলে সক্রিয় হয়ে ওঠে, কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন করে। লেবুর রস, ভিনিগার, টক দই, ছাসের মতো উপাদান থাকলে এটি ভাল ভাবে কাজ করে। অ্যাসিডের সংস্পর্শে এটিতে বুদবুদ তৈরি হয়, যা কেক, পাউরুটি, কুকির মতো খাবার তৈরির সময় ময়দার মণ্ড বা কেকের মিশ্রণটিকে হালকা এবং ফাঁপিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:
খাওয়ার সোডা: নাম আলাদা হলেও আসলে জিনিসটি একই। সোডিয়াম বাইকার্বনেট। চপ, ফুলুরি, বেগুনির মতো ভাজাভুজি তৈরির সময় বেসনের মিশ্রণে সামান্য সোডা মেশানো হয়। সুতরাং বাড়িতে যদি বেকিং সোডা বা খাওয়ার সোডা আনা থাকে সেটি যেমন বেকিংয়ের কাজে ব্যবহার করতে পারেন, তেমনই ভাজাভুজিতেও দিতে পারেন।
কাপড় কাচার সোডা: কাপড় কাচতেও সোডার ব্যবহার হয়। তবে কাপড় কাচার সোডা আর বেকিং সোডা কিন্তু এক নয়। কাপড় কাচার জন্য তৈরি সোডা খাবারে মেশানো অনুচিত। এটি সোডিয়াম কার্বনেট, যেটি খাওয়া হয় সেটি সোডিয়াম বাই কার্বোনেট। খাওয়ার সোডা অবশ্য কাপড় কাচার জন্য বা ঘর পরিষ্কারেও ব্যবহার করা যায়।
রান্না ছাড়া আর কোন কাজ?
· বাসন তেলচিটে হয়েছে, খাবারের গন্ধ যাচ্ছে না? সাদা ভিনিগারে বেকিং সোডা মিশিয়ে সেই তরল দিয়ে বাসন মাজলে সমস্যার সমাধান হবে।
· ফল বা সব্জির গায়ে থাকা রাসায়নিক, কীটনাশক ধুতেও বেকিং সোডার ব্যবহার হয়। দু’কাপ জলে ১ চা-চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে তার মধ্যে ১০-১৫ মিনিট ফল বা সব্জি ভিজিয়ে রাখতে হবে। তার পর পরিষ্কার জলে ফল বা সব্জি ধুলে তা খুব ভাল করে পরিষ্কার হয়।
· হেঁশেল পরিষ্কারের তেলচিটে কাপড় বেকিং সোডা মেশানো উষ্ণ জলে ভিজিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা। তার পর সাবান দিয়ে কাচলে ভাল পরিষ্কার হবে।