সুস্বাদু আর রসালো ফল আনারস ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করেন পুষ্টিবিদেরা। শুধু তা-ই নয়, শরীরকে দূষণমুক্ত করতেও আনারস সক্রিয় হতে পারে। কিন্তু তার পাশাপাশি আনারস ত্বককেও ঝকঝকে জেল্লাদার বানাতে পারে।
পুজোর আগে যখন সকলেই নানা ধরনের রূপচর্চায় ব্যস্ত, তখন খাবারের থালা থেকে কিছুটা আনারস বাঁচিয়ে রেখে ত্বকের পরিচর্যা করতে পারেন আপনিও। আনারস অনেক দামি ফেসিয়ালের মতোই ত্বককে ঝকঝকে পরিষ্কার করে জেল্লাদার বানিয়ে তুলবে।
কী ভাবে ত্বকে ব্যবহার করবেন আনারস?
১. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে:
আনারসে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ব্রোমেলাইন নামের একটি এনজাইম, যা ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
প্রণালী: দুই চামচ আনারসের কোরানো, আনারস বাটা অথবা আনারসের রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে এবং গলায় লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বককে সতেজ ও উজ্জ্বল করে তুলবে।
২. ত্বকের টানটান ভাব আনতে
আনারসের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
প্রণালী: একটি আনারসের টুকরোকে থেঁতো করে নিন বা মিক্সারে বেটে নিন। তার পরে ওতে এক চামচ অ্যালোভেরা জেল ও কয়েক ফোঁটা নারকেলের তেল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তার পরে ধুয়ে ফেলুন।ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করবে এই প্যাক।
৩. ব্রণ ও কালো দাগ কমাতে
আনারসে থাকা ব্রোমেলাইন প্রদাহ কমাতে এবং ব্যাক্টেরিয়াজাত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ফলে ব্রণ এবং তা থেকে হওয়া কালচে ছোপও কমে।
প্রণালী: দুই চামচ আনারসের রসের সাথে এক চামচ বেসন এবং সামান্য হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাকটি শুধুমাত্র ব্রণের জায়গায় বা কালো দাগের ওপর লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহারে দাগ হালকা হতে সাহায্য করবে।
সতর্কতা
আনারস ত্বকে লাগানোর পরে জ্বালাভাব বা চুলকানি হতে পারে, বিশেষ করে ত্বক যদি স্পর্শকাতর হয়, তবে এমন হওয়ার সুযোগ বেশি। মুখে ব্যবহারের আগে তাই হাতে লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিন। যদি দেখেন জ্বালা ভাব কমছে না। বা লালচে র্যাশের মতো সমস্যা হচ্ছে, তবে তা মুখে না ব্যবহার করাই ভাল। না হলে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।