শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা খুব জরুরি। আবার ত্বককে দূষণমুক্ত রাখাও জরুরি। বেসন ত্বককে পরিষ্কার করতে পারে খুব ভাল ভাবে। তবে বেসন ত্বককে শুষ্কও করে দিতে পারে। শীতে বেসন দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া যেতেই পারে। তবে তার জন্য বেসনের প্যাকে কয়েকটি উপকরণ মিশিয়ে নিতে হবে। যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি ত্বককে ব্রণমুক্ত, নরম এবং উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করবে।
বেসন, মধু ও গোলাপ জল
উপকরণ: বেসন, মধু এবং পরিমাণমতো গোলাপ জল।
উপকারিতা: মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি ত্বককে নরম রাখে। গোলাপ জল ত্বককে সতেজ বানাতে সাহায্য করে।
ব্যবহারের নিয়ম: বেসন, মধু ও গোলাপ জল মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি মুখে ও গলায় লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই হালকা হাতে ঘষে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করতে পারেন।
বেসন, টক দই ও হলুদ
উপকরণ: বেসন, টক দই এবং এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো।
উপকারিতা: টক দই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ও ব্রণের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
ব্যবহারের নিয়ম: সব উপকরণ মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম জল দিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।
বেসন ও বাদামের তেল
উপকরণ: বেসন এবং কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল অথবা এক চামচ দুধের সর।
উপকারিতা: আমন্ড তেল বা দুধের সর শীতকালে রুক্ষ ত্বককে গভীর থেকে পুষ্টি জোগায় এবং ময়েশ্চারাইজ করে। বেসন ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
ব্যবহারের নিয়ম: বেসনের সঙ্গে তেল বা দুধের সর ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে মিনিট দশেক রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার আগেই জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যাদের ত্বক খুব শুষ্ক, তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী।
খেয়াল রাখুন
বেসন দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক শীতকালে ১০-১৫ মিনিটের বেশি মুখে রাখবেন না, কারণ বেশি সময় রাখলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই একটি ভাল ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।