শীতে বাতাসে আর্দ্রতায় টান পড়ে। তখন ত্বকও যে আর্দ্র থাকবে না, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ত্বকের রুক্ষ হয়ে যাওয়া আটকাতে হলে শুধু ক্রিম-তেল আর ফেসপ্যাকে সমস্যা মিটবে না। তার জন্য দরকার বাড়তি কিছু, যা ভিতর থেকে ত্বককে আর্দ্র রাখবে, পুষ্টি জোগাবে। প্রয়োজন এমন কিছু যাতে শীতের শুষ্ক আবহাওয়াতেও ত্বক থাকে নরম, দেখায় উজ্জ্বল এবং মসৃণ।
মুম্বইয়ের পুষ্টিবিদ লিমা মহাজন বলছেন, শীতে ত্বককে ভাল রাখার জন্য বদল আনা দরকার শীতের খাদ্যাভ্যাসেও। তাঁর মতে, নিয়মিত যদি ৫টি খাবার খাওয়া যায়, তা ত্বককে ভিতর থেকে পুষ্টি জুগিয়ে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করবে।
১। রাঙা আলু
রাঙা আলুতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ, যা ত্বকের শুষ্ক ভাব কমানোর জন্য জরুরি। এ ছাড়া এতে জলের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি ত্বককে আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে।
২। কমলালেবু
যে কোনও মরসুমি ফলেই থাকে সেই ঋতুর সমস্যার সমাধান। কমলালেবুতে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন সি, যা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। আর ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখার জন্য কোলাজেন অত্যন্ত জরুরি। তবে এই গুণ ভিটামিন সি যুক্ত যে কোনও টক ফলেই রয়েছে। যেমন আমলকি, টম্যাটো এবং অন্যান্য লেবু।
৩। কাঠবাদাম
শীতের অবশ্যই খান বাদাম এবং বীজ। বিশেষ করে সেই সব বাদাম বা বীজ যাতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই রয়েছে। কাঠবাদাম, আখরোট, তিসির বীজ, চিয়া বীজ, সূর্যমুখীর বীজ ত্বকের জন্য ভাল।
৪। গাজর
গাজরও শীতের সব্জি। গাজরে আছে ভিটামিন এ। ভিটামিন এ ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। কারণ এটি ত্বকের কোষে যে ক্ষতি হয় তা পূরণ করতে সাহায্য করে। সূর্যের রোদ থেকে ত্বককে বাঁচাতে পারে। দূষণ থেকে হওয়া সমস্যাও কমাতে পারে। এ ছাড়া গাজর ত্বককে আর্দ্র রাখতেও পারে, যা ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে উজ্জ্বল এবং মসৃণ দেখাতে সাহায্য করে।
৫। তেল আছে এমন মাছ
শীতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে চর্বি আছে এমন মাছ খেতে পারেন। কাতলা, আড় মাছ, ভেটকি জাতীয় মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। শীতে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব বজায় রাখার জন্য এই ধরনের মাছ কাজে লাগতে পারে।