উৎসব মানেই বাড়তি সাজগোজ। মেকআপ, হেয়ার-ট্রিটমেন্ট, ফেসিয়ালের ‘অত্যাচার’ সইতে হয় ত্বককে। কিন্তু এ সবের মাঝে ত্বকের স্বাস্থ্য যেন উপেক্ষিত না হয়, যার মূলে রয়েছে শরীরের ভিতরের সুস্থতা আর যত্ন। এমন সময়ে কাজে আসতে পারে অভিনেত্রী সোহা আলি খানের টোটকা। উৎসবের মরশুমে কয়েকটি নির্দিষ্ট দিনলিপি মেনে চলেন বলিউড তারকা। সোহার কথায়, ‘‘ব্যস্ত বা উৎসবের দিনগুলিতেও আমি শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করি। তাতে আমার ত্বকও ভাল থাকে। উজ্জ্বল ত্বকের চাবিকাঠি এতেই লুকিয়ে।’’
দীপাবলিতে ত্বক উজ্জ্বল রাখার টোটকা
উৎসব মানেই সাজগোজ, রাতজাগা আর ব্যস্ততা। কিন্তু এই সময়েই ত্বকের যত্ন নেওয়া সবচেয়ে বেশি জরুরি। কালীপুজোর সময়ে সোহাকে অনুসরণ করতে পারেন আপনিও। তিনি মেনে চলেন কিছু সহজ ঘরোয়া নিয়ম।
দীপাবলিতে সোহার নিয়ম মেনে দেখতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
আমন্ড বাদাম: প্রতি দিন সকালে সোহা কয়েকটি আমন্ড বাদাম খান। এতে আছে প্রোটিন, ভিটামিন-ই ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা ত্বককে ভিতর থেকে পুষ্টি দেয় এবং বয়সের ছাপ পড়তে বাধা দেয়। এতে ত্বক কোমল এবং টানটান থাকে। তা ছাড়া ব্যস্ত দিনে শরীরে শক্তির জোগান দিতে পারে আমন্ড।
শরীরে জলের পরিমাণ: ত্বককে টানটান ও মসৃণ রাখতে চাইলে দিনে প্রচুর জল খাওয়া দরকার। শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে জল। ফলে ত্বক ভিতর থেকে পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ত্বকে যতই প্রসাধনী মাখুন না কেন, শরীরে জলের ঘাটতি থাকলে জেল্লা ফুটে উঠবে না। দীপাবলির আলোর সাজে আপনিও নজর কাড়তে পারেন।
হালকা ত্বকচর্চা: ত্বকের সুস্থতার জন্য বাহুল্যের প্রয়োজন, এই ধারণা সব সময়ে সঠিক নয়। কখনও কখনও স্বল্পেই মেলে উপকার। অন্তত সোহা তাই বিশ্বাস করেন। তাই ভারী মেকআপ না করে তিনি সাধারণ, প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেন। উৎসবের আগে ও পরে ত্বককে বিশ্রাম দেওয়াও তাঁর রুটিনের গুরুপুত্বপূর্ণ অংশ।
ঘুম ও বিশ্রাম: সোহার মতে, নিদ্রাহীনতা বা ক্লান্তি প্রথমে চোখ ও ত্বকেই প্রকাশ পায়, তাই উৎসবের ব্যস্ততার মধ্যেও বিশ্রাম খুব দরকার। সময়মতো এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে, তবেই সতেজ থাকবে ত্বক।