স্নান করে, সাবান মেখেও কারও কারও গায়ে ঘামের দুর্গন্ধ রয়ে যায়। বিশেষত গরম, বর্ষায় সমস্যা হয় মারাত্মক। গায়ে বিশ্রী গন্ধ বেরোলে তা খুব অস্বস্তিকরও।
তবে এই সমস্যার সহজ সমাধান বাতলাচ্ছেন হরিয়ানার ত্বকের রোগের চিকিৎসক গুরবীন ওয়ারইচ গরেকর। বেশ কয়েক বছর ধরেই ত্বকের রোগের চিকিৎসা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সমাজমাধ্যমে তিনি মাঝমধ্যেই ত্বকের যত্ন, ভুলভ্রান্তি নিয়ে পরামর্শ দেন। গুরবীন বলছেন, ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে পারে ‘ক্রিস্টাল ডিয়োডোর্যান্ট’। জিনিসটি আর কিছুই নয়, ফিটকিরি। একসময় দাড়ি কামানোর পর মুখে ফিটকিরি বুলিয়ে নেওয়া হত। বলা হয়, এতে অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান আছে। যা ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম।
আরও পড়ুন:
চিকিৎসক বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরে ভারতে ব্যবহার হয়ে আসা ফিটকিরি গায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে পারে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম সালফেট। এটি প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসাবে কাজ করে, যা ত্বক পরিষ্কার এবং টানটান রাখে। এর মধ্যে ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেলার ক্ষমতা আছে। ঘামের পরিমাণ কমিয়ে, ব্যাক্টেরিয়া দূর করে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে পারে ফিটকিরি।
কেন ফিটিকির কার্যকর?
ঘাম শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এতে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়। আবার এই ঘামের ফলেই পরিচ্ছন্নতার অভাবে অনেক সময় নানা রকম ব্যাক্টেরিয়া শরীরে বাসা বাঁধে। ঘামের দুর্গন্ধের কারণ হয়ে ওঠে তারাই। অবশ্য শরীরে দুর্গন্ধের আরও অনেক কারণ থাকতে পারে। নানা রকম অসুখ-বিসুখ হলে, ডায়াবিটিক রোগীদেরও অনেক সময় ঘামে দুর্গন্ধ হয়।
কী ভাবে তা ব্যবহার করা যায়?
· ফিটকিরির ছোট্ট টুকরো জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। কিছু ক্ষণ পরে সেই জলটি বাহুমূলে ও শরীরের যে স্থানগুলিতে বেশি ঘাম হয়, সেখানে স্প্রে করতে হবে।
তবে চিকিৎসক সতর্ক করছেন, ফিটকিরি সরাসরি গায়ে মাখলে অ্যালার্জিও হতে পারে, চুলকাতে পারে হাত-পা। এই ক্ষেত্রে ভাল উপায় হল বেঞ্জোল পারক্সাইড সাবান। সকাল এবং সন্ধ্যায় স্নানের সময় সেটি মাখলেই ঘামের দুর্গন্ধ কমে যাবে।