সকালের জলখাবারে কড়া করে পাউরুটির টোস্ট আর ডিম সেদ্ধ বা পোচ তৃপ্তিদায়ক খাবার। কিন্তু স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা উঠলে বাদ যাবে কি টোস্ট?
ওজন ঝরাতে গেলে, স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হলে ময়দা বাদ দেওয়াই ভাল, এমন ধারণাই রয়েছে। ফলে, অনেকেই পুষ্টিগুণের জন্য সকালের খাবারে ডিম রাখলেও বাদ দিচ্ছেন পাউরুটি। কিন্তু স্বাস্থ্যের কথা ভাবলে, সত্যি কি মাখন মাখানো টোস্টের স্বাদ ভুলতে হবে?
পুষ্টিবিদ অনন্যা ভৌমিক জানাচ্ছেন, একটি ডিমে ক্যালোরির পরিমাণ ৭০ কিলোকিল্যারি। ভিটামিন এ, ডি, ই, বি ১২, রাইবোফ্ল্যাভিন, ফোলেট, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট মেলে এতে। ডিমের পুষ্টিগুণ অত্যন্ত বেশি। ডিমে থাকা কোলিন নামক উপাদান মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য অত্যন্ত জরুরি। পেশি সুস্থসবল রাখতে ডিমের প্রোটিন অত্যন্ত উপকারী। তার সঙ্গে দু’টি মাল্টিগ্রেন ব্রেড খেলে ১৯০ কিলোক্যালোরি মিলবে। এতে থাকে প্রোটিন, ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট।
আরও পড়ুন:
হায়দরাবাদের পুষ্টিবিদ জি সুষমা বলছেন, হোল গ্রেন বা মাল্টিগ্রেন ব্রেড খেলে তাতে মিলবে অল্প কিছুটা ফাইবারও। ফাইবার পেট ভরাতে, হজম করতে এবং একই সঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জরুরি।
ফিটনেস এক্সপার্ট দীপিকা শর্মা এক সাক্ষাৎকারে জানাচ্ছেন, ডিম এবং পাউরুটি একসঙ্গে খেলে প্রোটিন, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যায় শরীরে। ময়দার সাদা পউরুটি খেলে রক্তে দ্রুত শর্করা মিশবে। তবে সঙ্গে ডিম খেলে, প্রোটিন শর্করার মাত্রাকে একটু হলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। পুষ্টিবিদ অনন্যা বলছেন, ‘‘স্বাস্থ্যের দিকটি বজায় রাখতে হলে ময়দা নয়, বরং মাল্টিগ্রেন ব্রেড বেছে নেওয়াই ভাল। এর পুষ্টিগুণ বেশি। এতে মেলে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট। যা রক্তে শর্করার মাত্রা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।’’
দীপিকা বলছেন, "শুধু ডিম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির ভয় থাকে না। কারণ, ডিমে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুব কম, আবার প্রোটিনের মাত্রা বেশি। বিপাকহার জনিত স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও তা উপযোগী।"
তবে শুধু ডিমের বদলে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার পাতে রাখতে বলছেন পুষ্টিবিদেরা। সে ক্ষেত্রে একটি মাল্টিগ্রেন ব্রেড খাওয়াই যায়। তবে সঙ্গে স্যালাড বা ফল থাকলে ভাল। ডিম, আটার পাউরুটির সঙ্গে টাটকা সব্জি বা ফল রাখলে পেটও ভরবে, আবার ফাইবার থাকায় চট করে রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়বে না।