রাতভর মেখে রাখতে হবে মুখে, সকালে উঠে ফুরফুরে, কোমল ত্বক পাওয়ার সবচেয়ে সাশ্রয়ী উপায়

প্রকৃতিই সুস্থতার চাবিকাঠি। মানবজগতের আশপাশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সব সমস্যার সমাধান। সাজের জিনিসের সরঞ্জামে ঘর ভর্তি না করে বাড়ির অ্যালোভেরা গাছটির উপর ভরসা রেখে দেখুন না। হয়তো খাটনি খানিক বাড়বে, কিন্তু টাকা খরচ প্রায় হবে না বললেই চলে। কোলাজেন, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ারের উৎস হিসেবে এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা নিরাময়ের জন্য বহু কাল ধরে সুপরিচিত অ্যালোভেরা। সারা রাত মুখে অ্যালোভেরার জেল মেখে রাখুন। সুন্দর ফুরফুরে হয়ে উঠবে প্রতিটি সকাল। কোন কোন ক্ষেত্রে উপকার পাবেন, জানেন?

ব্রণ প্রতিরোধ করে: গরমের সময়ে অ্যালোভেরা মাখলে ঠান্ডা হয় ত্বক। প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়িং বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত অ্যালোভেরা সব ধরনের ত্বকের জন্য কার্যকরী। ত্বক তৈলাক্ত হোক বা রুক্ষ-শুষ্ক, অ্যালোভেরার নিরাময়কারী বৈশিষ্ট্য ব্রণ প্রতিরোধ করতে পারে। অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং প্রদাহনাশী বৈশিষ্ট্য থাকায় তা ব্যাক্টেরিয়ার মোকাবিলা করার জন্য আদর্শ।

স্বচ্ছ জেলের ময়েশ্চারাইজ় করার ক্ষমতা রয়েছে এবং ৯৬ শতাংশ জলীয় উপাদান রয়েছে।

আর্দ্রতা ধরে রাখে: শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় জেরবার? অ্যালোভেরা ব্যবহার করা শুরু করুন। এর স্বচ্ছ জেলে ময়েশ্চারাইজ় করার ক্ষমতা রয়েছে। ৯৬ শতাংশ জলীয় উপাদান রয়েছে অ্যালোভেরায়। শুষ্ক ত্বকে জ্বালাপোড়ার সমস্যা থাকলে, তা-ও সারিয়ে তুলতে পারে। প্রতিদিন ঘুমোনোর সময়ে অ্যালোভেরা লাগিয়ে রাখলে, সারা রাত কাজ করার সময় পায়। ফলে সকালে আপনার ত্বককে তুলনায় অনেক বেশি সতেজ এবং প্রাণবন্ত দেখাবে।

ত্বকের রোগ নিরাময় করে: এগজ়িমা এবং সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের রোগে ভুগলে অ্যালোভেরার উপর ভরসা রাখতে পারেন। প্রাকৃতিক এই জেলে রোগ নিরাময়ের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই ত্বকের জটিল রোগ থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম।

মুখের ফোলাভাব কমায়: জিন ঘটিত এবং কর্টিসলের কারণে চোখের নীচের অংশ ফুলে যায় অনেকের। মুখের স্বাভাবিকত্ব ফিরে আনতে সারা রাত অ্যালোভেরা মেখে রাখলে ভাল। তবে খেয়াল রাখতে হবে, চোখের খুব কাছে লাগানো যাবে না। চোখের সংস্পর্শে এলে জ্বালা হতে পারে।