ছবি- সংগৃহীত
রাত পোহালেই মহালয়া। আর মহালয়া এসে যাওয়া মানেই, মনে পুজোর বাদ্যি। তার উপর এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কেনাকাটাও প্রায় শেষ। পোশাক তো হল কিন্তু মানানসই সাজ? চুলের কারুকাজ করাতে সালোঁতে গিয়ে দেখলেন, আপনার কেশচর্চা বিশেষজ্ঞ, আপনার চুল হাতে নিতেই হুড়হুড় করে উঠে এল। এমন অবস্থায় যে কায়দাই করুন না কেন, দেখতে মোটেই ভাল লাগবে না। চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতি দিন ৫০ থেকে ১০০টা পর্যন্ত চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু চুল পড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে যদি চুল না গজায় তা হলে সামান্য ক্লিপও ব্যবহার করতে পারবেন না। এই সময় আপনার কাছে আলাদিনের জিনি হতে পারে অ্যাভোকাডো অয়েল।
অ্যাভোকাডো অয়েল শুনেই ভাবছেন, এত দিন শুনেছেন যে এই তেল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ স্যালাডে, বেকড্ খাবারে অ্যাভোকাডো অয়েল ব্যবহার করেন। সেই তেলই এখন মাথায় মাখতে হবে? অ্যাভোকাডোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, অলেইক অ্যাসিড এবং ওমেগা থ্রি। যা আপনার স্বাস্থ্যের তো বটেই, আপনার চুল এবং ত্বকেরও খেয়াল রাখে।
মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে, নতুন চুল গজাতে কী ভাবে ব্যবহার করবেন অ্যাভোকাডো অয়েল?
১) মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিতে অ্যাভোকাডো বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
২) ইদানীং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আপনার আর চুল আঁচড়াতে ইচ্ছাই করে না। কারণ শুষ্ক, নিষ্প্রাণ চুল খুলে রাখা মানেই ঝরে পড়ার সমস্যা। অ্যাভোকাডো তেলে থাকা ভিটামিন ডি চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল ঝরে পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
৩) চুলের পরিচর্যায় বাজার থেকে কেনা প্যাক, সিরাম, স্পা, যা-ই ব্যবহার করুন না কেন, তার সঙ্গে অল্প পরিমাণে মিশিয়ে নিন অ্যাভোকাডো তেল। আশাতীত ফল পাবেন।
৪) শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত চুলে অনেক সময় শ্যাম্পু করার সঙ্গে সঙ্গেই জট পড়ে যায়। আঁচড়ানোর উপায় থাকে না। এই ক্ষেত্রে অ্যাভোকাডো তেল খুবই উপকারী। অ্যাভোকাডোতে থাকা ভিটামিন ই, চুলের কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy