প্রাইমার, ফাউন্ডেশন, কনসিলর, ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার, সেটিং স্প্রে, এই নিয়মেই মেকআপ করে আসছেন বছরের পর বছর। কিন্তু জীবনের কত ক্ষেত্রই তো নতুনত্ব আসে, তবে রূপটানে আনবেন না কেন? সামগ্রী থাকুক এ সবই। কেবল বদলে দিন প্রয়োগের এই বিন্যাস। সম্পূর্ণ না হলেও আংশিক উলটপুরাণ ঘটুক মেকআপ শিল্পে। অর্থাৎ পাউডার দিয়ে শুরু করে কনসিলর, ফাউন্ডেশনে শেষ। এ কৌশল আর পরীক্ষা নিরীক্ষার স্তরে নেই, অনেকেই সাজের মেয়াদ বাড়াতে এই বিন্যাসে মেকআপ করা শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন:
কোনটির পর কোন সামগ্রীর ব্যবহার হবে মেকআপের উলটপুরাণে?
১. ময়েশ্চারাইজ়ার মাখুন মুখের ত্বকে।
২. মেকআপ ব্রাশ দিয়ে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার দিয়ে ঢেকে ফেলুন।
৩. পাউডারের উপর কয়েক ফোঁটা সেটিং স্প্রে ছিটিয়ে দিন। মিনিটখানেক অপেক্ষা করে জল শুকিয়ে যেতে দিন।
৪. প্রাইমার মেখে নিন।
৫. শেষে ফাউন্ডেশন দিয়ে মেকআপের ফিনিশিং টাচ।
কোনটির পর কোন সামগ্রীর ব্যবহার হবে মেকআপের উলটপুরাণে? ছবি: সংগৃহীত।
মেকআপে বড়সড় বদল, অথচ নতুন সামগ্রী কেনার প্রয়োজন নেই। ঘরে যা ছিল বা আছে, তা দিয়েই মেকআপের নতুন রুটিন মেনে চলা যাবে সহজে। তবে জলরোধী বা ওয়াটারপ্রুফ ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করাই উচিত। দরকারে পুরনো সামগ্রী ফেলে নতুন ফাউন্ডেশন কিনে নিন। কারণ এ ধরনের পণ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক থাকার আশঙ্কা থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।
কিন্তু এই উলটপুরাণের প্রয়োজনীয়তা কী?
পাউডার, স্প্রে, প্রাইমার এবং ফাউন্ডেশনের পর পর স্তরের এই বিন্যাস ত্বকের নীচের অংশকে সিল করে দিতে পারে। গরমের সময়ে ঘাম হলেও যাতে মেকআপ ঘেঁটে না যায়, যেন মসৃণ থাকে রূপটান, সে দিকে নজর রাখে এই ধরনের মেকআপ। উপরের স্তরগুলি এই বিন্যাসের ফলে দীর্ঘমেয়াদি হয়। তা ছাড়া মেকআপ দেখে মনে হবে না, মুখে অতিরিক্ত রং রয়েছে। বরং ‘নো মেকআপ লুক’-এর মতো সেজে ফেলা যায় এই কৌশলে। তবে হাত পাকানো দরকার সে ক্ষেত্রে।