বার্লি এক অতি প্রাচীন শস্য। ইদানীং যে ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল খাওয়ার চল বেড়েছে। বহু বছর আগে বার্লি খাওয়া হত সেই প্রাতরাশেই। বাঙালির ঘরেও নতুন জিনিস নয় বার্লি। বছর চল্লিশেক আগেও রোগীর পথ্য হিসাবে বার্লি খাওয়ানো হত। যাতে রোগে ভুগে দুর্বল হয়ে পড়া শরীরে বল আসে। সেই বার্লিই আবার ফিরে এসেছে আধুনিক স্বাস্থ্য সচেতনদের দুনিয়ায়। ওজন কমানো এবং শরীর ভাল রাখার জন্য বার্লির সঙ্গে চিয়া বীজ মিশিয়ে খাচ্ছেন অনেকেই।
কেন খাবেন?
১। পেটের জন্য ভাল
বার্লিতে রয়েছে ফাইবার। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে রাখে, হজমে সাহায্য করে। চিয়া বীজে থাকা উপাদান হজমে সহায়ক মাইক্রোবিয়োমকে ভাল রাখে।
২। নাছোড় ব্যথা বেদনা দূরে রাখে
চিয়া বীজ এবং বার্লি— দু’টিতেই রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস। যা শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালস দূর করে প্রদাহ কমায়। ফলে ব্যথা বেদনার সমস্যা দূরে থাকে।
৩। পেশির গঠনে সহায়ক
চিয়া বীজ এবং বার্লিতে রয়েছে জরুরি খনিজ যেমন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম। যা কাজের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং পেশির গঠনে সাহায্য করে।
৪। ওজন কমাতে সাহায্য করে
বার্লি এবং চিয়ার হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে। ফলে পেট ভরে থাকে দীর্ঘ ক্ষণ। বিপাকের হার বাড়ে। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৫। হার্ট এবং কিডনির স্বাস্থ্য ভাল রাখে
চিয়া বীজে রয়েছে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা কোলেস্টরল কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। বার্লি কিডনিকে প্রস্রাব তৈরি করতে সহায়তাকরে। যা কিডনির স্বাস্থ্যও ভাল রাখে।
কী ভাবে বানাবেন?
৩ টেবিল চামচ বার্লি ৩-৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তার পরে দু’কাপ জলে ভিজিয়ে রাখা বার্লি ফুটিয়ে নিয়ে তার পরে কম আঁচে রেখে দিন যত ক্ষণ না বার্লি নরম হচ্ছে। তার পরে জল ছেঁকে ঠান্ডা হতে দিন। পরে ফ্রিজেও রাখতে পারেন।
১ টেবিল চামচ চিয়া বীজ ১-২ ঘণ্টা ১ কাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন। এ বার এক কাপ বার্লির জলে ২ টেবিল চামচ ভেজানো চিয়া বীজ গুলিয়ে লেবুর রস মিশিয়ে খান।