শীতের সময়ে ত্বকের যত্ন নিতে হবে ছেলেদেরও। কেবল মুখ ধুলে বা ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে নিলেই হবে না। শীতের সময়ে রুক্ষ ত্বকের সমস্যা বাড়ে। তার পর দাড়ি কাটার পর ত্বক আরও বেশি শুকিয়ে যায়। র্যাশ বা ফুস্কুড়ির সমস্যাও হয়। অনেকেই জানেন না, পুরুষদের ত্বক মহিলাদের চেয়ে বেশি তৈলাক্ত হয়। সারাদিন রোদে, ধুলোধোঁয়ার মধ্যে ঘুরে ছেলেদের ত্বকের দফারফা হয়ে যায়। মেয়েদের রূপচর্চা নিয়ে যতটা চর্চা হয়, ছেলেদের ততটা হয় না। আর ছেলেরাও ত্বকের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে খুব একটা মাথা ঘামান না। ফলে, একটা সময়ে গিয়ে দেখা যায়, ত্বক অকালেই বুড়িয়ে যাচ্ছে, দাগছোপ পড়ছে। ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে।
কী ভাবে মুখ পরিষ্কার করবেন?
১) একটি পাত্রে ২ কাপ মুলতানি মাটি, ১ কাপ গুঁড়ো করা ওটস, ৪ টেবিল চামচ গুঁড়ো করা কাঠবাদাম নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো নারকেলের দুধ দিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করে নিন। এই স্ক্রাব ত্বকের পেলবতা বজায় রাখে।
২) কলার স্ক্রাব কিন্তু বেশ কার্যকরী। বা়ড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন। কফির গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে নিন পাকা কলা। বেশি পেকে যাওয়া বা কালো হয়ে যাওয়া কলাও ব্যবহার করতে পারেন। এটি খুব ভাল মানের ‘বডি স্ক্রাব’ হতে পারে। আর কফি ত্বকের জন্য ভীষণ ভাল একটি উপাদান।
আরও পড়ুন:
৩) স্নানের জল খুব গরম হলেও ত্বকের সমস্যা দেখা দেবে। প্রতিদিন ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করুন। ঠোঁটের বিশেষ যত্ন নেবেন। ঘরের বাইরে এসপিএফ যুক্ত ও ভিতরে ভিটামিন সমৃদ্ধ লিপবাম ব্যবহার করুন।
৪) শীতের শেভিং রুটিনেও একটু সতর্কতা প্রয়োজন। প্রি-শেভ অয়েল বা ক্রিম লাগিয়ে তবে উন্নত মানের শেভিং জেল দিয়ে আলতো স্ট্রোকের মাধ্যমে দাড়ি কাটুন। বেশি চাপ বা ঘষাঘষি করবেন না। রেজ়রের ব্লেড নিয়মিত বদলালে শেভিংয়ে সমস্যা হয় না। মুখ ধোয়ার পর পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। তার পর হাইড্রেটিং আফটারশেভ ময়েশ্চারাইজ়ার বা ফেশিয়াল অয়েল লাগান।
৫) দাড়ি রাখলে অবশ্যই নিয়মিত ট্রিম করবেন। বিয়ার্ড শ্যাম্পু দিয়ে দাড়ি পরিষ্কার রাখবেন। ভাল বিয়ার্ড অয়েল লাগালেও উপকার পাবেন।
৬) চোখের নীচের ত্বক তুলনায় পাতলা। তাই সহজেই এই ত্বক কুঁচকে যায়। ভিটামিন কে আছে এমন সিরাম ব্যবহার করুন ওই এলাকায়। তাতে ত্বকের ক্ষতি কম হবে।
যত বেশি জল খাবেন, ত্বক তত সতেজ থাকবে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে বেশি করে জল খাওয়া জরুরি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দিনে কম করেও তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার জল জরুরি। তবে ডায়াবিটিস বা অন্য অসুখ থাকলে, কতটা জল খাবেন তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।