দই দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন নানা ধরনের ফেসপ্যাক। প্রতীকী ছবি।
দই শরীরের জন্য কতটা উপকারী, আলাদা করে বলার আর প্রয়োজন পড়ে না। তবে শুধু সুস্থ থাকতে নয়, ত্বকের পরিচর্যাতেও দই ব্যবহার করা যায় অনায়াসে। সকলের ত্বক এক রকম নয়, ত্বকের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন সমস্যাও দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে দই হতে পারে সমাধানের অন্যতম পথ। দই দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন নানা ধরনে ফেসপ্যাক। কোন ধরনের ত্বকের জন্য কী ভাবে ব্যবহার করবেন ত্বক?
স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য
স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে অল্পেতেই র্যাশ, ব্রণ বেরোয়। এই ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রে অভ্যাসের বাইরে গিয়ে কোনও কিছু মাখলেই সমস্যা হয়। যাঁদের এমন ত্বক, তাঁরা সব কিছু মাখতেও পারেন না। কিন্তু দই মাখলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এক টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে দু’চামচ ওট্স মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে মাখতে পারেন। ২০ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বক ভাল থাকবে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য
রুক্ষ ত্বকে মসৃণতা আনতে কাজে লাগাতে পারেন দই। মধু এবং দই একসঙ্গে মিশিয়ে থকথকে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। স্নানের আগে ৩০ মিনিট মতো মেখে রাখুন। শুকিয়ে এলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন মাখলে ত্বকে আসবে ঔজ্জ্বল্য।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
এই ধরনের ত্বক হল ব্রণর আতুঁড়ঘর। তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যাও অনেক বেশি। তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া জরুরি। বেসনের সঙ্গে দই মিশিয়ে মাখতে পারেন। বেসন ত্বকের কোষে কোষে জমে থাকা ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। সপ্তাহে দু’দিন মাখলেই কাজ হবে।
সাধারণ ত্বক
তৈলাক্ত নয়। আবার ঠিক রুক্ষও বলা যায় না। এই ধরনের ত্বক সাধারণ ত্বক হিসাবে ধরে নেওয়া হয়। এমন ত্বকেও সমস্যা দেখা যায়। দইয়ের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে ত্বকে মাখলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy