অনন্ত অম্বানীর বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কেন্দ্র বনতারা উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কী কী করলেন, তা নিয়ে সমাজমাধ্যমে আলোচনা চলছেই। তবে সম্প্রতি সেই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পরা নীতা অম্বানীর শাড়িটিও অনেকের নজর কেড়েছে। বিশেষ করে বাঙালি শাড়িপ্রেমীদের। তাঁরা অনেকই বলছেন, শাড়ি বাংলার হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।

বনতারার উদ্বোধনে (বাঁ দিক থেকে) রাধিকা মার্চেন্ট, অনন্ত অম্বানী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, নীতা অম্বানী এবং মুকেশ অম্বানী। ছবি: সংগৃহীত।
নীতা সাধারনত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যে ধরনের নকশাদার সূক্ষ্ম সুতোর ভারতীয় সূচিকর্মের শাড়ি পরেন, তার সঙ্গে ওই শাড়ির মিল নেই তেমন। বরং শাড়িটিতে তেমন সুতোর কাজ নেই বললেই চলে। দুধসাদা হালকা সিল্কের শাড়ির দুই প্রান্তে দুই ধরনের রঙের ছাপা টেম্পল পাড়। এক দিকে উজ্জ্বল টম্যাটো লাল, অন্য দিকে রানি গোলাপি। আঁচলে ওই দুই রংই ঢেলে মিশেছে। ব্যস, শাড়ির মূল নকশা বলতে এটুকুই। তবে উজ্জ্বল রঙের ঢালা আঁচলে সোনালি জরির সুতোয় বোনা কয়েকটি ছোট ছোট হাতির মোটিফও করা আছে।
শাড়িটির ছবি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসতেই শাড়িপ্রেমীদের একাংশ দাবি করেছেন, নীতা যে শাড়িটি পরেছেন তা দেখতে অনেকটা বাংলা আদি অকৃত্রিম বিষ্ণুপুরী সিল্কের মতো।

বনতারার উদ্বোধনে নীতার শাড়ি। পাশে একটি অনলাইন বিক্রেতা সংস্থার গঙ্গা-যমুনা পাড় বিষ্ণুপুরী সিল্ক। ছবি: সংগৃহীত।
বিষ্ণুপুরের ওই ধরনের সিল্কে কাঠের ব্লক দিয়ে রং ছাপানো হয়। নীতা যে ধরনের শাড়ি পরেছেন, সেই ধরনের দু’রকম পাড়ের বিষ্ণুপুর সিল্ককে গঙ্গা-যমুনা পাড়ও বলা হয়। ওই ধরনের বিষ্ণুপুরী সিল্কের শাড়ির দাম খুব বেশি নয়। নীতার শাড়িতে অবশ্য এর পাশাপাশি সােনালি সুতোর জরির মোটিফও রয়েছে।
নীতা বরাবরই ঐতিহ্যবাহী শাড়ি এবং তার শিল্পীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে ভারতীয় শিল্পীদের হাতে বোনা শাড়িই পরেন বেশি। সে বস্টনে কোনও সম্মান গ্রহণের জন্য হোক বা ভারতের কোনও পার্টিতে। বেনারস, বিহার, মহারাষ্ট্র, দক্ষিণ ভারতীয় সিল্কের শাড়ি প্রায়ই পরতে দেখা যায় তাঁকে। এ বার কি তবে তিনি বাংলার সিল্ক পরলেন!