বেল্টের রকমভেদ। ছবি: সংগৃহীত।
বেল্ট। কোমরের সঙ্গে জিন্স বা অন্য প্যান্ট শক্ত করে বেঁধে রাখতেই এর সর্বাধিক ব্যবহার দেখা যায়। নারী হোক বা পুরুষ, বেল্টের নকশা খানিক আলাদা হলেও প্যান্টের সঙ্গে দু’পক্ষই ব্যবহার করেন। তবে শুধু এইটুকু নয়, বরং ‘ইন্দো-ওয়েস্টার্ন’ পোশাক হোক কিংবা শাড়ি, রকমারি বেল্ট বা কোমরবন্ধের ব্যবহারে সাজপোশাকে নতুন মাত্রা আনা সম্ভব।
বেল্টের ব্যবহার বহু প্রাচীন। বিভিন্ন সভ্যতায় বিভিন্ন কালে কোমরবন্ধের প্রচলন দেখা গিয়েছে। প্রাচীন রোম, এমনকি ভারতেও এর ব্যবহার ছিল পুরুষের আভরণ হিসাবে। কখনও বেল্ট ছিল পুরুষদের সামাজিক মর্যাদার প্রতীক। চওড়া বেল্টে সুগঠিত শরীর ও কোমর আরও বেশি দৃশ্যমান হয়ে উঠত। মধ্যযুগের ইউরোপে মহিলাদের ফ্যাশনেও জিনিসটি যুক্ত হয়।
ব্রেডেড বেল্ট
পুরুষ ও মহিলা, উভয়েই ব্যবহার করেন। এই বেল্ট দেখতে লাগে কিছুটা চুলের চওড়া বিনুনির মতো। কাপড় থেকে চামড়া, ফোম বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে ব্রেডেড বেল্ট তৈরি হয়। জিন্স বা যে কোনও প্যান্টের সঙ্গে এই বেল্ট পরা যায়। বিশেষত বিনুনির মতো স্টাইলটি মহিলাদের কাছে বেশ প্রিয়। শুধু প্যান্ট কোমরের সঙ্গে দৃঢ় ভাবে বাঁধতে নয়, যে কোনও হাঁটুঝুল বা গোড়ালি-ঝুল পোশাকের সঙ্গেও মহিলারা এই বেল্ট ব্যবহার করেন।
স্যাশ বেল্ট
স্যাশ বেল্ট কিছুটা চওড়া ফিতের মতো। কুর্তা বা লম্বা কোনও গাউনের সঙ্গে কোমরে বাঁধা হয়। রঙিন বেল্টটি যে এই ধরনের পোশাকে অন্য রকম মাত্রা জুড়তে পারে। এই ফিতের শেষ ভাগটি এমন ভাবে ‘বো’-এর মতো বাঁধা হয়, যাতে ফিতের দু’টি অংশ সমান দৈর্ঘ্যে ঝুলে থাকে। জাপানি পোশাক কিমোনোর সঙ্গে এই ধরনের বেল্টের ব্যবহার দেখা যায়। এ ছাড়া যে কোনও আলগা গাউনের সঙ্গেও স্যাশ বেল্টের যুগলবন্দি ভাল লাগে।
হিপ চেন
ভারতীয় হোক বা পাশ্চাত্য পোশাক, কোমরের এই চেন বেশ জনপ্রিয়। উজ্জ্বল, ঝকঝকে শাড়ি যেমন কাঞ্জিভরম, বেনারসির সঙ্গে এই ধরনের কোমরবন্ধ ব্যবহার করা হয়। জিন্সের সঙ্গে নাভি পর্যন্ত ছোট ঝুলের ‘ক্রপ টপ’ পরেও এই ধরনের হিপ চেন ব্যবহার করা যায়। তন্বী কোমরের আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দেয় সুন্দর নকশার সরু কোমরবন্ধ। শাড়ি এবং পশ্চিমী পোশাক, দুইয়ের সঙ্গেই এটি ব্যবহার করা হলেও, তার নকশা সম্পূর্ণ আলাদা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy