Advertisement
E-Paper

শুষ্ক ত্বকে জেল্লা ফেরাতে ‘হাইড্রেশন’ জরুরি না ‘ময়েশ্চারাইজ়ার’? দুইয়ের মধ্যে তফাত কোথায়?

রুক্ষ ত্বকের যত্নে এটা-ওটা মাখছেন। তবু ত্বকের কমনীয়তা ফিরছে না? রূপচর্চার আগে জেনে নিন, কোন ত্বকে ‘হাইড্রেশন’ জরুরি, কোনটিতে ‘ময়েশ্চারাইজ়াশেন’।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫ ১৩:৫১
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার শর্ত কী?

ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার শর্ত কী? ছবি: আনন্দবাজার ডট কম

ক্লিনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজ়িং এখন আর নতুন কোনও শব্দ নয়। বরং ত্বক ভাল রাখার আবশ্যক তিন শর্ত জানেন সকলেই। সমাজমাধ্যমে রূপচর্চার পদ্ধতি, প্রসাধনী নিয়ে নিয়মিত চর্চার দৌলতে এগুলি ছাড়াও আরও অনেক শব্দের সঙ্গেই লোকজনের পরিচিতি ঘটছে। তেমনই একটি বিষয় হল ‘হাইড্রেশন’। ত্বকের চিকিৎসক থেকে রূপচর্চা শিল্পীরা মুখের লালিত্য ধরে রাখতে ‘হাইড্রেশন’-এর কথা বলেন। আবার রুক্ষ ত্বকের কমনীয়তা রক্ষায় ময়েশ্চারাইজ়িং-এর কথাও বলা হয়। হাইড্রেশন এবং ময়েশ্চারাইজ়েশন কি একই, নাকি দুইয়ের মধ্যে তফাত আছে কোনও? আপনার ত্বকে কোনটি জরুরি?

হাইড্রেশন এবং ময়েশ্চারাইজ়েশন

হাইড্রেশন হল এমন একটি পন্থা, যেখানে শরীরে জল সরবরাহ করতে হয়। শরীরে জলাভাব হলে, শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ বিগড়ে যেতে পারে। শরীরের জন্য যেমন জলের দরকার, তেমনটাই দরকার ত্বকেরও। পর্যাপ্ত জল না পেলে ত্বকও রুক্ষ হয়ে পড়ে। হাইড্রেশন এ ক্ষেত্রে ত্বকে জল বৃদ্ধির পন্থা। যা শুধু জল খেলেই হয় না বরং ক্ষেত্র বিশেষে গ্লিসারিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড-সহ বেশ কিছু উপাদান ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে সাহায্য করে।

অন্য দিকে ময়েশ্চারাইজ়িং বলতে বোঝায়, রুক্ষ ত্বকে ময়েশ্চারাইজ়ার বা পাতলা ক্রিম জাতীয় প্রসাধনী মাখা। এতে ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর হয়। ময়েশ্চারাইজ়ারের কাজ হল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা। হাইড্রেশন ত্বককে আর্দ্রতা জোগায় এবং ময়েশ্চরাইজ়ার সেই পরত ধরে রাখতে সাহায্য করে।

কোন ধরনের ত্বকের জন্য কোনটি উপযোগী?

ময়েশ্চারাইজ়ার

ত্বকের ধরন শুষ্ক হোক বা তৈলাক্ত— সকলেরই ময়েশ্চারাই‌জ়ারের দরকার। তবে ত্বক ভেদে তার ফর্মুলা পৃথক হবে। যেমন, যাঁদের ত্বক তেলতেলে, তাঁরা জেল বেস্ড বা জলীয় উপাদান যুক্ত হালকা ময়েশ্চাইজ়ার ব্যবহার করবেন। কিন্তু যাঁদের ত্বক নিষ্প্রাণ, শুষ্ক, তাঁদের জন্য ভাল শিয়া বাটার, কোকো বাটার জাতীয় ময়েশ্চারাইজ়ার।

হাইড্রেশন

যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত মাত্রায় শুষ্ক, ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহারের পরেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না, তাঁদের হাইড্রেশন বিশেষ জরুরি। অর্থাৎ ত্বককে প্রথমে আর্দ্রতা জোগান দিতে হবে, তার পর ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহারের মাধ্যমে তা ধরে রাখতে হবে। হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, অ্যালো ভেরা— এগুলি ত্বকে আর্দ্রতা জোগানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

ত্বকে জলের ঝাপটা দিলে কি আর্দ্রতার জোগান দেওয়া যায়?

জলের অভাব দূর করতে যে কোনও স্বাস্থ্যকর তরল পানে উৎসাহ দেন চিকিৎসকেরা। জল খেতে বলেন। কিন্তু ত্বকের জলের অভাব বা আর্দ্রতার অভাব দূর হবে কিসে? জল দিয়ে বার বার মুখ ধুলেই কি সমস্যার সমাধান হবে? রূপটান শিল্পীরা বলছেন, ‘‘বার বার জল দিয়ে মুখ ধোয়া ঠিক নয়। বরং এতে ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব উধাও হতে পারে। মুখ লেগে থাকা জল বাষ্পীভূত হওয়ার সময় ত্বকের আর্দ্রতা শুষেও নিতে পারে। সে কারণে মুখ ধোয়ার পরে, আর্দ্রতা ধরে রাখতে ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার জরুরি।"

Skin Hydration Tips Skin Care Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy