সহজ এবং চটজলদি মেক আপের টোটকা। প্রতীকী ছবি।
এক বছরের প্রতীক্ষার অবসান। পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা আমজনতা। উৎসবের আলোয় সেজে উঠেছে শহর থেকে শহরতলি। উৎসব পালন করবেন আর সুন্দর করে সাজবেন না, তা কী করে হয়? পুজোর পাঁচটি দিনের সাজগোজের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছেল আগে থেকেই। এ বার তা বাস্তবে পরিণত হওয়ার পালা। কেতাদুরস্ত নকশা করা পোশাক তো রয়েছেই। তার সঙ্গে মানানসই রূপটানও কিন্তু চাই। মেক আপ পরিপাটির না হলে কেতাদুরস্ত পোশাকে ততটা সুন্দর না-ও দেখাতে পারেন। তাই পুজোর সময় মেক আপের প্রতি নজর দেওয়া জরুরি।
অনেকেই আছেন, যাঁরা মেক আপে ততটাও পটু নন। পেশাদার রূপটান শিল্পীদের মতো মেক আপ করতে হবে, এমন কোনও মানে নেই। কিন্তু মেক আপ করার সাধারণ কিছু ফিকির জেনে নিলে কম সময়ে সেজেই নজর কেড়ে নিতে পারবেন সকলের। রইল তেমন কয়েকটি সহজ এবং চটজলদি মেক আপের টোটকা।
১) পুজোর সকাল আর রাতের মেক আপ কিছুটা আলাদা হওয়া জরুরি। উৎসবের রাতের সাজগোজ হবে আলাদা। জমকালো। কিন্তু সকালের রূপটানে থাকবে স্নিগ্ধতার ছোঁয়া। বেশি ভারী মেক আপ সকালের দিকে না করাই ভাল। সকালের রূপটান শুরু করুন কনসিলার দিয়ে। চোখের নীচের কালি, ত্বকের কালো দাগছোপ ঢেকে ফেলুন কনসিলার দিয়ে। তার পর ত্বকের রং অনুযায়ী সঠিক ফাউন্ডেশন বেছে নিয়ে অল্প করে ব্যবহার করুন। ভাল করে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এর জন্য একটি ব্রাশ বা স্পঞ্জ ব্যবহার করতে পারেন।
২) পুজো মানেই তাড়াহু়ড়ো। নিজেকে পরিপাটি করে সাজিয়ে তুলতে বেশি সময় নিলে চলবে না। বু্দ্ধি খাটিয়ে এমন কিছু পথ বার করতে হবে যাতে কম সময়ে সাজ হয় চোখধাঁধানো। তার জন্য চোখের সাজ শুরু করুন আগে। ত্বকে প্রসাধনের প্রলেপ না দিলেও চলে যাবে কিন্তু চোখের সাজ ঠিক করে না হলে অন্যের নজরকাড়া কিন্তু মুশকিল। সময় নিয়ে চোখটা ভাল করে সাজান। পোশাকের ধরন এবং রঙের সঙ্গে চোখের সাজের সামঞ্জস্য থাকে। শুধু চোখ নয়, ভুরুও সাজাতে হবে মন দিয়ে।
৩) চোখ আর ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটেও রাখতে হবে উৎসবের ছোঁয়া। সাজগোজের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল লিপস্টিক। ঠোঁটের রঙের ধরা থাকে সৌন্দর্য। তবে যা খুশি একটা রং ঠোঁট লাগিয়ে নিলেই হল না। কী পোশাক পরছেন, তার সঙ্গে মানানসই রঙের লিপস্টিক পরুন। সকালের দিকে গাঢ় রঙের লিপস্টিক হালকা করে পরতে পারেন। আবার রাত হলে গাঢ় রঙের লিপস্টিক পরতে পারেন। সুন্দর দেখাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy