প্রত্যেক মাসে কিছু ঘরোয়া টোটকা মেনে চললে আর ঘন ঘন দাঁতের চিকিৎসকের কাছে দৌড়াতে হয় না। ছবি: সংগৃহীত
দু’বেলা নিয়ম মেনে দাঁত মাজেন প্রায় সকলেই। যে কোনও খাবার খাওয়ার পর ভাল করে মুখ ধোয়া এবং সপ্তাহে কয়েকবার ফ্লস করেও সকলের দাঁতেই কিছু দিন অন্তর এক হলুদ আস্তরণ পড়ে যায়। এই হলদেটে দাগ সহজে দূর করা মুশকিল। দন্তচিকিৎসকের কাছে গিয়ে স্কেলিং করে রাসায়নিক পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করে নেন অনেকেই। কিন্তু প্রত্যেক মাসে কিছু ঘরোয়া টোটকা মেনে চললে আর ঘন ঘন দাঁতের চিকিৎসকের কাছে দৌড়াতে হয় না। টোটকাগুলি সহজ হলেও বেশ কার্যকর। তাই জেনে রাখলে সুবিধা হবে আপনারই।
১। অ্যাপল সিডার ভিনিগার
ত্বক এবং চুলের জন্য অ্যাপল সিডার ভিনিগার কতটা উপকারী, তা অনেকেরই জানা। কিন্তু দাঁত সাদা করতেও যে কাজে লাগে এই ভিনিগার, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। ২০০ মিলি জলে দু’ চা চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে একটা মাউথওয়াশ বানিয়ে নিন। তার পর সেই মাউথওয়াশ মুখে নিয়ে ৩০ সেকেন্ড মতো কুলি করে ফেলে দিন। নিয়মিত করলে দাঁত পরিষ্কার হবে। তবে মনে রাখবেন, অ্যাপল সিডার ভিনিগার এক ধরনের ব্লিচ। তাই জলে না মিশিয়ে সরাসরি কখনওই মুখে নেবেন না। এবং এই মাউথওয়াশটাও খুব বেশিক্ষণ মুখের মধ্যে রাখবেন না।
২। ফলের খোসা
কলা, লেবু কিংবা কমলালেবুর মতো কিছু ভিটামিন সি যুক্ত ফলের খোসা ঘষলে দাঁতের হলদে ভাব মিলিয়ে যাবে সহজেই। ভিটামিন সি থাকার পাশাপাশি এতে ডি-লিমোনিন নামেও এক ধরনের যৌগ থাকে। যা দাঁত সাদা করতে সাহায্য করে।
৩। অয়েল পুলিং
খানিকটা নারকেল তেল মাউথওয়াশের মতো মুখে নিয়ে ভাল করে কুলি করতে হবে। মুখের সব পেশি যাতে সমানে ভাবে যুক্ত থাকে এই কাজে তা নিশ্চিত করতে হবে। দু’-তিন মিনিট এ ভাবে কুলি করার পর তেলটা ফেলে দিন। এতে দাঁত ঝকঝকে তো থাকবেই, পাশাপাশি দাঁতের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে। এই পদ্ধতির নাম অয়েল পুলিং।
৪। বেকিং সোডা
‘জার্নাল অফ আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন’-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বেকিং সোডা দাঁত পরিষ্কার করার জন্য যথেষ্ট নিরাপদ। শুধু দাঁতের হলদে ভাব কাটানোর জন্যেই নয়, দাঁতের কোণে জমা নোংরা এবং বিভিন্ন জীবাণু দূর করতেও সমান কার্যকর বেকিং সোডা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy