নতুন ফ্ল্যাট মনের মতো করে সাজিয়েছিলেন সৌম্যা। কিন্তু সেই সুখ সইল না গোছা গোছা চুল পড়ার জ্বালায়। যে চুলের জন্য সহকর্মীরা প্রশংসা করতেন, সেই চুলই উঠতে শুরু করল নতুন ফ্ল্যাটে আসার পরে।
আরও পড়ুন:
বিষয়টি আর কিছুই নয়, খর জল বা হার্ড ওয়াটার। কোনও কোনও জায়গার জলে আয়রন বেশি থাকে। কোথাও আবার অ্যালুমিনিয়াম, বেরিয়াম, জ়িঙ্কের মতো খনিজও মিশে থাকে জলে। এমনিতে বেশ কিছু খনিজ চুলের বৃদ্ধির জন্য ভাল। তবে জলে মিশে থাকা খনিজ মাথার ত্বকে জমতে থাকলে চুল ঝরতে শুরু করে।
খনিজ মিশ্রিত জল বা খর জলে নিয়মিত স্নান করলে চুলের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। অনেক সময় বোঝাই যায় না চুল কেন উঠছে। তবে খর জলে শুধু চুল ঝরা নয়, চুল রুক্ষ হয়ে ভেঙেও যেতে পারে।
কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
• চুল ঝরা
• চুল রুক্ষ হয়ে আগা ভেঙে যাওয়া
• জট পড়া
• শুষ্ক হয়ে যাওয়া, আঠালো হয়ে থাকা
• ঔজ্জ্বল্য হারানো
সমাধানের উপায়
শাওয়ার হেড ফিল্টার
জল যদি সমস্যার কারণ হয় তা হলে জল শোধনই সহজ উপায়। এ ক্ষেত্রে ভাল মানের শাওয়ারহেড ফিল্টার পাওয়া যায়। এই ধরনের ফিল্টার জল থেকে খনিজ এবং ক্লোরিন ছেঁকে নিতে সাহায্য করে। নানা রকম মানের এবং প্রযুক্তির ফিল্টার মেলে। এটি লাগিয়ে নিলেই প্রাথমিক সমাধান হবে।
ক্ল্যারিফাইং শ্যাম্পু
খর জল বা হার্ড ওয়াটার ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে খনিজের স্তর জমে যায়। যার ফলে চুল আলগা হয়ে পড়ে। মাথার ত্বক থেকে যদি খনিজ পরিষ্কার করে ফেলা যায় তা হলেও সমস্যার সমাধান সম্ভব। এই কাজে সাহায্য করবে ক্ল্যারিফাইং শ্যাম্পু। এই শ্যাম্পু মাথার ত্বক থেক অতিরিক্ত তেল, ময়লা, খর জলের ফলে জমা খনিজ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
মাস্ক
চুল খরখরে এবং রুক্ষ হয়ে যাওয়ার সমস্যা আটকাতে নিয়ম করে মাস্ক ব্যবহার করুন। চুলের জন্য নানা ধরনের মাস্ক হয় যা চুল নরম রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টি জোগায়। তেমনই কিছু একটি বেছে নিন। মাস্কের ধরন অনুযায়ী তা সপ্তাহে একবার বা দু’বার ব্যবহার করতে হবে।
চুলের যত্নে অনেকে জলে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে ব্যবহার করেন। এতে চুল ধুলে চুল নরম এবং সুন্দর হয়। ভিনিগারের অ্যাসিড জাতীয় উপাদান মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।