Advertisement
E-Paper

রুক্ষ, নিষ্প্রাণ চুল বশে রাখবে ঘরোয়া কন্ডিশনার! কী ভাবে বানাতে হয়, দেখে নিন

বাজারচলতি প্রায় সব সংস্থার কন্ডিশনারেই রাসায়নিক থাকে। সাময়িক ভাবে সেগুলি মাখলে চুল নরম হয়, চুল পড়ার পরিমাণ বেড়েও যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৩১
Conditioner

ছবি: সংগৃহীত।

কন্ডিশনার মাখার পরে চুল পড়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়!

তা সত্ত্বেও শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার না মেখে উপায় নেই। কারণ, চুল এমনিতেই বেশ রুক্ষ। শ্যাম্পু করার পরে তাকে আঁচড়ে এক জায়গায় রাখাও বেশ কঠিন। তার উপর কপালের আশপাশ থেকে ছোট চুলগুলিও অবিন্যস্ত ভাবে উড়তে থাকে। চুল শুকোতে না শুকোতেই আবার জট পড়তে শুরু হয়। চুল আঁচড়াতে গেলে ছিঁড়ে যাওয়ার প্রবণতাও বেড়ে যায়। এমন সব সমস্যা সমাধানে কন্ডিশনার ব্যবহার করা আবশ্যিক।

কিন্তু বাজারচলতি প্রায় সব সংস্থার কন্ডিশনারেই রাসায়নিক থাকে। সাময়িক ভাবে সেগুলি মাখলে চুল নরম হয়, চুল পড়ার পরিমাণ বেড়েও যেতে যেতে পারে। তবে এই ধরনের সমস্যা সহজে টেক্কা দেওয়া যায় ঘরোয়া কন্ডিশনার ব্যবহার করলে। কী ভাবে বানাতে হয়?

ঘরোয়া ঘরোয়া কোন কোন উপাদান দিয়ে কন্ডিশনার তৈরি করা যায়?

১) মধু এবং অলিভ অয়েল:

অলিভ অয়েল এবং মধু রূপচর্চার অন্যতম দুই উপাদান। চুলের যত্নেও এদের জুড়ি মেলা ভার। একটি কাপে ২ চামচ মধু আর ১ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে এই মিশ্রণটি মেখে কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করুন। তার পর ধুয়ে নিলে চুল হবে নরম, কোমল।

২) কলা, টক দই:

সকালে পাউরুটির সঙ্গে শুধু কলা খেলেই হবে না, চুলেও সেটি মাখতে পারেন। কলার মাস্ক কন্ডিশনার হিসাবে দারুণ কার্যকরী। চুল পড়ার সমস্যা যাঁদের বেশি, কলা কিন্তু দাওয়াই হতে পারে। কলা চটকে খানিকটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে মেখে অপেক্ষা করুন। কয়েক দিনের ব্যবহারে পাতলা চুলও ফুলেফেঁপে উঠবে।

৩) ডিম, নারকেল তেল:

ডিম চুলের পক্ষে খুবই উপকারী। ডিম চুলকে শুষ্ক হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। এর সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়ে প্যাক বানিয়ে ফেলুন। চুলকে মোলায়েম করবে এই প্যাক। চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত এটি লাগাবেন। একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। ৪০ মিনিট রেখে তা ঈষদুষ্ণ গরম জলে ধুয়ে নিন।

৪) অ্যাপল সাইডার ভিনিগার:

রুক্ষ, নিষ্প্রাণ চুলে জেল্লা ধরে রাখার পাশাপাশি মাথার ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার। মাথায় খুশকির সমস্যা থাকলে তা-ও দূর করে। জল এবং অ্যাপল সাইডার ভিনিগার সম পরিমাণে মিশিয়ে নিন। মাথায় মেখে রাখুন আধ ঘণ্টা। তার পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৫) নারকেলের দুধ:

যাঁদের চুল ভীষণ রুক্ষ, তাঁরা কন্ডিশনার হিসাবে নারকেলের দুধ ব্যবহার করতে পারেন। চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে প্রাকৃতিক এই উপাদানটি দারুণ কাজের। চাইলে নারকেলের দুধের সঙ্গে সামান্য অলিভ অয়েলও মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এই মিশ্রণ মাথায় মেখে অপেক্ষা করতে হবে আধ ঘণ্টা। তার পর শ্যাম্পু করে নিলেই হবে।

Hair Conditioner Homemade Hair Conditioner hair fall Dry Hair
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy