বয়স বাড়লে তো বটেই, এখন অল্প বয়সেও ত্বকে বলিরেখা দেখা দিতে শুরু করে কারও কারও। বাইরের খাবার খাওয়া, প্রসাধনীতে অত্যধিক রাসায়নিকের ব্যবহার, ধুলো-দূষণ ইত্যাদির কারণে বলিরেখা পড়তে শুরু করে। জীবনযাপনে নানা অনিয়মের ফলে ৩০ পেরোনোর আগেই ঠোঁটের পাশে, কপালে দাগছোপ পড়ে যায়। অর্থাৎ সময়ের আগেই বৃদ্ধ হতে থাকে ত্বক। বাজারচলতি হরেক প্রসাধনী মেখেও বলিরেখা দূর করা সহজ নয়। ভাবছেন তো রোজ দামি ক্রিম মেখেও কেন হচ্ছে এই সমস্যা? অবাক হওয়ার কিছুই নেই। বরং দেখতে হবে, ত্বকের যত্ন নেওয়ার পদ্ধতিতে কোথায় ভুল হচ্ছে।
১) মেকআপ করা এবং তোলার পদ্ধতিতে অনেক সময়েই গোলমাল হয়ে থাকে। তার জেরে এমন সমস্যা দেখা দেয়। যেমন চোখ প্রায় কপালে তুলে কাজল পরা, মাসকারা বা আইলাইনার লাগানোর অভ্যাস অনেকের। তার জেরে কপালের চামড়া কুঁচকে যায় বহু ক্ষেত্রে। মেকআপ তোলার সময়েও অনেকে এমন কাজ করে থাকেন। এমন রোজ চলতে থাকলে ভাঁজ পড়ে কপালে।
২) গরমকালে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ছাড়া বাড়ি থেকে না বেরোলেও শীতের মরসুমে সানস্ক্রিন মাখেন না অনেকেই। এই অভ্যাসের কারণেও কিন্তু ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। অতিবেগনি রশ্নি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। বেশি রোদের সংস্পর্শে থাকলে বলিরেখার সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই দিনে এক বার নয়, একাধিক বার ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন।
৩) যে কোনও ছোটখাটো কথায় নানা রকম মুখভঙ্গি করেন? ভুরু কুঁচকে যায় কথায় কথায়? অথবা নাক-মুখ কুঁচকে হাসার অভ্যাস? এ সবের জেরেও ভাঁজ পড়ে চামড়ায়। বিশেষ করে কপালে এবং মুখের চারপাশে দাগ পড়ে যেতে পারে খুব কম বয়সে।
৪) শুষ্ক ত্বকে বলিরেখা পড়ে দ্রুত। তাই ত্বকের চাই আর্দ্রতা। তার জন্য শুধু প্রসাধনী মাখলেই হবে না। বরং বেশি করে জল খেতে হবে। ত্বক টান টান রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি।
৫) ধূমপান করেন? এই অভ্যাসও কিন্তু আপনার ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই যৌবনের জেল্লা ধরে রাখতে চাইলে ধূমপান ছাড়তে হবে। মদ্যপানের ফলে ত্বক অনেক বেশি রুক্ষ ও শুষ্ক দেখায়। বেশি পরিমাণে মদ্যপান করলে শরীরে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা শুরু হয়। ডিহাইড্রেশনের ফলে ত্বকে বলিরেখা পড়তে শুরু করে। তাই ত্বকে যৌবনের জেল্লা পেতে চাইলে মদ্যপান ছাড়তে হবে।