হেঁশেলের উপাদানেই ত্বকচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর চার-পাঁচ দিন মুখে মেকআপ করে ত্বকের হাল খারাপ হয়ে গিয়েছে। তার উপর আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের আর্দ্রতাও হারিয়ে যেতে শুরু করেছে। শীত আসার আগেই ত্বকের যত্নে নানা রকম প্রসাধনী কিনবেন বলে ঠিক করেছেন। কিন্তু হেঁশেলে থাকা সামান্য কিছু উপাদানেই যদি ত্বকের সমস্যার সমাধান করা যায়, তা হলে একগাদা টাকা খরচ করতে যাবেন কেন?
১) মধু
সর্দি-কাশি নিরাময়ে মধু খাওয়ার চল বহু পুরনো। কিন্তু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে মধুর ভূমিকা অপরিসীম। প্রকৃতি থেকে পাওয়া এই তরল সোনা দিয়ে তৈরি ফেসমাস্ক শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে পারে।
২) নারকেল তেল
নারকেল তেল দিয়ে রান্না করার চল রয়েছে দক্ষিণ ভারতে। চুলের যত্নে এই তেলের ভূমিকা জানেন সকলেই। কিন্তু নারকেল তেল যে দামি ময়েশ্চারাইজ়ারের বিকল্প হিসাবে কাজ করতে পারে, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। শুধু তা-ই নয়, মেকআপ তোলার কাজেও অনায়াসে ব্যবহার করা যায় নারকেল তেল।
৩) ওটমিল
গুচ্ছের টাকা খরচ করে এক্সফোলিট্যান্ট কেনেন। স্পর্শকাতর ত্বক হলে এই প্রসাধনী কেনার সময়ে অনেক কিছুই মাথায় রাখতে হয়। না হলে ত্বকে র্যাশ বেরিয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়। তবে এত ঝক্কি নিতে হয় না যদি বাজারজাত এক্সফোলিয়েটরের বদলে ওটমিলের গুঁড়ো দিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে নিতে পারেন। মৃত কোষ সরিয়ে ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে ওটমিল।
৪) অলিভ অয়েল
স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই রান্নায় সর্ষের তেলের বদলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করে থাকেন। তবে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটযুক্ত এই তেল, চুল এবং ত্বক দুইয়ের যত্নেই ব্যবহার করা যায়। মুখ থেকে মেকআপ তোলার কাজে অনেকেই অলিভ অয়েলে ব্যবহার করেন।
৫) লেবুর রস
প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসাবে কাজ করে লেবুর রস। যা ত্বকের কালচে ছোপ, মেচেতার দাগ দূর করতে সাহায্য করে। মধু কিংবা জলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে, টোনার হিসাবে ব্যবহার করা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy