ছবি: প্রতীকী
তৈলাক্ত ত্বকে র্যাশ, ব্রণের সমস্যা গুরুতর। তবে এর পরেই যে সমস্যা উঁকি দেয়, তা হল ব্ল্যাকহেড্স বা হোয়াইটহেড্স। নিয়মিত মুখ পরিষ্কার না করলে ত্বকের অতিরিক্ত তেল, মৃত কোষ, ব্যাক্টেরিয়ার উপর ধুলোবালি জমে। নাকের দু’পাশে, থুতনিতে অতি সূক্ষ্ম কালো বিন্দুর মতো ফুটে উঠতে দেখা যায়। খুব ভাল ভাবে না দেখলে বোঝা মুশকিল। কিন্তু দিনের পর দিন এই ব্ল্যাকহেড্স নাকের বা থুতনির উন্মুক্ত রন্ধ্রের উপর জমতে থাকলে তা দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। তা ছাড়া দাগছোপহীন, নিটোল ত্বকে অবাঞ্ছিত কিছু থাকাও কাম্য নয়। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মাসে একটা দিন সালোঁয় গেলে হবে না। নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে।
কী কী করলে নাকের পাশে ব্ল্যাকহেড্স জমতে পারবে না?
১) নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা
অন্ততপক্ষে দিনে দু’বার মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। মুখে যেন তেল, ধুলোবালি বসতে না পারে সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
২) এক্সফোলিয়েট করা
মুখের অতিরিক্ত তেল ধুয়ে নিলেই কাজ হবে না। ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে, মৃত কোষ দূর করতে এক্সফোলিয়েট করাও জরুরি। ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করতে স্যালিসিলিক অ্যাসিড, গ্লাইকোলিক অ্যাসিডযুক্ত স্ক্রাব ব্যবহার করতে বলেন বিশেষজ্ঞেরা।
৩) মুখে গরম বাষ্প নেওয়া
মুখ এক্সফোলিয়েট করার পর গরম বাষ্প নিতে হয়। ব্ল্যাকহেড্সগুলি উন্মুক্ত রন্ধ্রের থেকে আলগা হয়ে এলে সহজেই বেরিয়ে আসে।
ছবি: প্রতীকী
৪) ক্লে মাস্ক ব্যবহার করা
মুখে ক্লে মাস্ক ব্যবহার করলেও অনেক সময় ব্ল্যাকহেড্সের সমস্যা দূর হতে পারে। বাজারে অনেক ধরনের ক্লে মাস্ক পাওয়া যায়। নাকের দু’পাশে এই মাস্ক লাগিয়ে রাখুন। মিনিট দশেক পরে ধুয়ে ফেলুন। ক্লে মাস্ক ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে ব্ল্যাকহেড্সের সমস্যা দূর করে।
৫) যন্ত্রের সাহায্যে খোঁটা যাবে না
সালোঁয় ফেসিয়াল করতে গেলে বিশেষ একটি যন্ত্রের সাহায্যে চাপ দিয়ে ব্ল্যাকহেড্স তুলে ফেলা হয়। সেই দেখে যদি বাড়িতে নিজে নিজে ব্ল্যাকহেড্স তুলতে যান, তা হলে কিন্তু বিপদ বাড়বে। তাই এই কাজ এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy