খরচ খানিক বেশি হলেও কেশচর্চা থেকে কেশসজ্জার জন্য তাঁর সালোঁই ভরসা অনেকের। ভারতের প্রখ্যাত কেশসজ্জাশিল্পী জাভেদ হাবিব সম্প্রতি কেশচর্চার টোটকার কথা জানালেন। যার সূত্রপাত রয়েছে প্রাচীন প্রথা হামামে। অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্যের এককালীন গণস্নানাগারের সঙ্গে যুক্ত জাভেদের এই টোটকা। তুরস্ক থেকে ভারতেও এই প্রথা প্রচলিত ছিল বলে উল্লেখ করেন হাবিব। এটি একে ঘরোয়া, তায় এতে খরচের সম্ভাবনাো তেমন নেই।
মধ্যপ্রাচ্যের এককালীন গণস্নানাগারের সঙ্গে যুক্ত কেশচর্চার টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।
জাভেদের পরামর্শ, রোজ চুল ধোয়া উচিত। কিন্তু কী ভাবে ধুলে চুলের উপকার হয়? কেশসজ্জাশিল্পীর মতে, রোজের রুটিন হতে পারে খানিক এমনটা—
· প্রথমে ভাল করে চুল ভিজিয়ে নিতে হবে জলে।
· তার পর ভেজা অবস্থাতেই তেল মাখতে হবেন।
· কিন্তু কোন তেল বেছে নেবেন? জাভেদের পরামর্শ, যে ব্যক্তি যে এলাকার বাসিন্দা, সেখানকার নিজস্ব ঘরোয়া তেল ব্যবহার করতে হবে। যেমন, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের মানুষের কাছে সর্ষের তেল সহজলভ্য, তাই সেখানে সর্ষের তেল ব্যবহার করতে হবে। আবার দক্ষিণ ভারতে নারকেল তেল সহজে পাওয়া যায়, তাই সেখানে সেটাই উপযুক্ত।
তবে তেল মাখার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলেছেন হাবিব। তেল মাখার বদলে মালিশ বা মাসাজ করা নিয়ে আপত্তি রয়েছে তাঁর। জাভেদের মতে, জোরে জোরে তেল মালিশ করলে চুলে ভাঙন ধরে এবং ক্ষতি হয়। তার বদলে যাঁদের চুল লম্বা, তাঁরা তেল লাগানোর পর চুল আঁচড়ে নিন। মিনিট পাঁচেক পর ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার জন্য জাভেদ কোনও দামি বা ব্র্যান্ডেড শ্যাম্পুর নাম বলেননি। বরং যে কোনও শ্যাম্পু ব্যবহার করার পরামর্শ তাঁর। এই ভাবে খুব সহজে, প্রায় বিনা খরচে এবং স্থানীয় উপাদান ব্যবহার করে আপনি নিজের ঘরে বসেই প্রাচীন হামাম রীতি অনুসরণ করে চুলের যত্ন নিতে পারেন।