সব ত্বকের জন্য যেমন সমস্ত প্রসাধনী ঠিক নয়, তেমনটা প্রযোজ্য শ্যাম্পুর ক্ষেত্রেও। চুলের রকমফের অনুযায়ী শ্যাম্পুর বদলও স্বাভাবিক। তাই হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, তেমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা ঠিক নয়। আবার হয়তো অনেক দিন ধরে বিশেষ একটি শ্যাম্পুই ব্যবহার করছেন। কিন্তু সেটি কি আপনার চুলের জন্য যথাযথ? হতেই পারে, অন্য শ্যাম্পু ব্যবহার করলে আরও ভাল ফল পাবেন। সে সব বিচার করেই শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। কোন চুলের জন্য কেমন শ্যাম্পু ভাল, জেনে নেওয়া যাক।
কোন চুলের জন্য কেমন শ্যাম্পু বাছবেন?
স্ট্রেট চুল
চুল স্ট্রেট হলে বেছে নিতে পারেন ভলিউমাইজ়িং শ্যাম্পু। নাম থেকেই বোঝা যায় যে, এই ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলের ঘনত্ব বাড়ে।
কোঁকড়ানো চুল
চুল কোঁকড়ানো হলে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন, যাতে রাসায়নিকের মাত্রা কম। খেয়াল রাখবেন, কেনা শ্যাম্পুতে যেন সালফেট, প্যারাবেন, অ্যালকোহল একেবারেই না থাকে। খুব বেশি সুগন্ধি দেওয়া শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। এমন হালকা শ্যাম্পু বেছে নিন, যাতে ফেনা কম হয়। যত বেশি ফেনা হবে, তত বেশি সালফেট থাকবে শ্যাম্পুতে।
আরও পড়ুন:
রুক্ষ চুল
শুষ্ক ও রুক্ষ চুলের জন্য ময়শ্চারাইজ়িং শ্যাম্পুর জুড়ি মেলা ভার। এতে চুল নরম হয়, প্রাণও ফেরে।
তৈলাক্ত চুল
তৈলাক্ত চুলে কিন্তু আর যা-ই হোক, ময়শ্চারাইজ়িং শ্যাম্পু ব্যবহার করা ঠিক নয়। বরং এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা দরকার, যাতে রয়েছে কেটোকোনাজ়ল, জ়িঙ্ক পাইরিথিয়োন ইত্যাদি।
রং করা চুল
হেয়ার কালার করার পরেই বদলে ফেলতে হয় শ্যাম্পু। সেই সময়ে এমন ধরনের শ্যাম্পুই ব্যবহার করা শ্রেয়, যা চুলের রং নষ্ট করে দেয় না। কিন্তু সেই সময়েও মাথায় রাখতে হবে চুলের ধরন। চুলের ধরন অনুযায়ীও শ্যাম্পু কিনতে পাওয়া যায়। বেছে নিতে পারেন তেমন শ্যাম্পুও। এতে চুলের রং বজায় রাখতে গিয়ে অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাবে না।
ড্রাই শ্যাম্পু
চুলের তেলচিটে ও ময়লা ভাব এড়াতে এবং হাতে সময় কম থাকলে অনেকেই ড্রাই শ্যাম্পু বেছে নেন। কর্ন বা রাইস স্টার্চের বেস দিয়ে তৈরি ড্রাই শ্যাম্পু গুঁড়ো হয়। জল দিয়ে ধোয়ার ব্যাপারও থাকে না। তাড়াহুড়োয় বা শেষ মুহূর্তে কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে ড্রাই শ্যাম্পু করতে পারেন। তবে রোজ এই শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না।