কম বয়সে চুলে পাক ধরার সমস্যা অনেকেরই। ছবি: সংগৃহীত।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চুলে পাক ধরে। এক ঢাল ঘন কালো চুলের মাঝে হঠাৎ দু-তিনটে রুপোলি রেখা দেখা দিলে মনখারাপ হয়। তবে বয়সের সঙ্গে চুলে পাক ধরার কিন্তু কোনও সম্পর্ক নেই। যে কোনও বয়সে চুল পেকে যেতে পারে। হজমের গোলমাল, চুলের অযত্ন, মানসিক চাপ ইত্যাদি কারণে চুলে পাক ধরত পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার বংশগত কারণেও পাক ধরে চুলে। চুল পাকলেই তা কালো করার জন্য উঠেপড়ে লাগেন অনেকেই। বাজারচলতি নানা প্রসাধনী থেকে শুরু করে হেনা, চুলের রং ফেরাতে চেষ্টার কমতি রাখেন না কেউই। তবে এই ধরনের প্রসাধনীতে রাসায়নিক পদার্থ থাকে। ফলে চুলের ক্ষতি হয়। ঘরোয়া উপায়ে কিন্তু চুল কালো করা যেতে পারে। কোন কৌশলে ভরসা রাখবেন তার জন্য?
যাদের কম বয়সে চুলে পাক ধরে আমলকি তাদের পক্ষে উপকারী। ছবি: সংগৃহীত।
লিকার চা
চায়ের লিকারের মতো প্রাকৃতিক কন্ডিশনার খুব কমই আছে। এক কাপ জলে চা ফেলে তা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন। এই লিকার চা চুলে ঢেলে কয়েক মিনিট রেখে দিন। তার পর শ্যাম্পু করে নিন। পর পর কয়েক সপ্তাহ এটি মেনে চললে ধীরে ধীরে রং ফিরে আসবে চুলে।
আমলকি
চুলের যত্নে আমলকি কতটা উপকারী, তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। নারকেল তেলে কাঁচা আমলকি ফেলে সেই তেল ফুটিয়ে নিন। এতে আমলকির রস তেলে মিশে যায়। এ ছাড়া আমলকি থেঁতো করেও দিতে পারেন নারকেল তেলে। তেল ঠান্ডা হয়ে এলে চুলে মেখে নিন। আধ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। কয়েক দিনের ব্যবহারে চুল কালো হবে।
নারকেল তেল-লেবুর রস
দু’টেবিল চামচ নারকেল তেলে দু’চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চুলের কালো রং ফেরাতে বেশ উপকারী। রাতে ঘুমোনোর আগে মাথার ত্বকে ভাল করে এই তেল মালিশ করে নিন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নিন। তিন-চার সপ্তাহ ব্যবহার করলে চুলে কালো রং ফিরতে বাধ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy