অভিনেত্রী নীনা গুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।
চাকরি পেয়েই মা-বাবাকে বিদেশি কায়দার একটি রেস্তরাঁয় খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিল অন্তরা। বাঙালি রেস্তরাঁয় বার কয়েক খেতে গেলেও ফাইন ডাইনিং রেস্তরাঁয় খুব একটা যাওয়া হয়নি। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের সঙ্গে কয়েক বার এমন রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছেন অন্তরা। সেখানকার আদবকায়দা দেখে প্রথমে হকচকিয়ে গেলেও পরে শিখতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মা-বাবাকে তো আলাদা করে কাঁটাচামচ, ছুরি দিয়ে কাটলেট বা ফিশফ্রাই খেতে শেখানো হয়নি। তাঁরা তো সেখানে গিয়ে অপ্রস্তুতে পড়তেই পারেন। তবে শুধু অন্তরার মা-বাবার মতো সাধারণই নন, এমন সব আদবকায়দা রপ্ত না থাকায় বেকায়দায় পড়তে হয়েছিল ‘বধাই হো’র অভিনেত্রী নীনা গুপ্তকেও। নীনা তাঁর ইনস্টাগ্রামে সেই অভিজ্ঞতাই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।
রেস্তরাঁয় খেতে গেলে যে ‘টেবিল ম্যানার্স’ মেনে চলতে হয়, তা হয়তো সকলেই জানেন। তবে রেস্তরাঁ গিয়ে খাওয়ার অভ্যাস না থাকলেও কাঁটাচামচ এবং ছুরির ব্যবহার জানা সম্ভব নয়। মধ্যবয়সে পৌঁছে আলাদা করে তার পাঠ নিতে গেলেও ছেলেমেয়েদের সামনে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। তবে নীনা বলেছেন, দীর্ঘ দিন পর্যন্ত তিনিও বুঝতে পারতেন না যে, কোন হাতে কোন জিনিসটি ধরা উচিত। কী ভাবে ছুরির সাহায্যে খাবার কেটে টুকরো করে কাঁটাচামচ দিয়ে তা মুখে পুরতে হয়, সে সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না নীনার। নীনা মনে করেন, তাঁর মতো অনেকেই এমন সমস্যার সম্মুখীন হন। তাই তাঁদের জন্য এই সমস্যা সহজ একটি সমাধান বাতলে দিয়েছেন তিনি। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োতে নীনা বলেছেন, “কোন হাতে কোন জিনিসটি ধরবেন, সেই হিসেবটি খুব সহজ। আপনার ডান হাতে যদি জোর বেশি হয় অর্থাৎ আপনি যদি ডানহাতি হয়ে থাকেন, তা হলে ডান হাতে ছুরি ধরতে হবে। বাম হাতে থাকবে কাঁটা চামচ। কারণ কোনও কিছু কাটতে বেশি জোর লাগে। তাই ছুরিও সেই হাতেই ধরতে হবে। আর বামহাতিদের জন্যে নিয়মটা পুরো উল্টো। কারণ তাঁদের দুটি হাতের মধ্যে জোর সবচেয়ে বেশি বাম হাতে।”
নিজের জীবন নিয়ে বরাবরই অকপট নীনা। একা মা হওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে দ্বিতীয় বিয়ে— তার পর আবার অভিনয় জগতে ফেরা। সব কিছুতেই সাবলীল নীনা। তবে বাইরে থেকে দেখতে যতটা সহজ মনে হয়, তাঁর জীবনপথ ততটা মসৃণ ছিল না। কোনও রাখঢাক না করেই তিনি নিজের জীবন সংগ্রামের কথা প্রকাশে আনেন। এমন অকপট স্বীকারোক্তি অনুরাগীদের কাছেও যথেষ্ট প্রশংসনীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy