নতুন চুল গজানোর টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।
মাথায় চুল গজানোর জন্য তেল, শ্যাম্পু, লোশন— কিছুই বাদ দেননি। ঘরোয়া যাবতীয় টোটকাও মাথায় মেখে দেখেছেন। তবে, বিশেষ তফাত নজরে আসেনি। প্রাকৃতিক নানা রকম উপাদান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন অনেকেই। সম্প্রতি এক ভিডিয়োয় নেটপ্রভাবী এবং সুগন্ধিবিদ মনোজ দাস দাবি করেছেন, টক দইয়ের সঙ্গে গোলমরিচ, দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ মাখলেই মাথায় নতুন চুল গজাতে পারে।
ভিডিয়োয় বলা হয়েছে, ছোট একট পাত্রে ৪ টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে ১ চা চামচ গোলমরিচের গুঁড়ো এবং ১ চা চামচ দারচিনির গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার ঘণ্টা চারেক ওই ভাবে রেখে দিন। তার পর ওই মিশ্রণ মাথায় মেখে রেখে দিন। মাথার ত্বকে কোনও রকম অস্বস্তি না হলে ঘণ্টাখানেক রেখে দিতে পারেন। গোলমরিচ এবং দারচিনির মধ্যে থাকা উৎসেচকগুলি ফলিকলকে উদ্দীপিত করে। সপ্তাহে ২-৩ দিন এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে মাখতে পারলে মাসখানেকের মধ্যেই তফাত বুঝতে পারবেন। কিন্তু এই টোটকা কি সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য? কী বলছেন ত্বকের চিকিৎসকেরা?
ত্বকের চিকিৎসক শরিফা চৌসে বলছেন, টক দই ত্বক যে চুলের জন্য ভাল, তা সর্বজনবিদিত। মাথার ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখার জন্য অনেকেই এই উপাদান মাখেন। টক দইয়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ মাথার ত্বকে সংক্রমণজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে। রুক্ষ চুল রেশমের মতো মসৃণ করতেও সাহায্য করে টক দই। গোলমরিচ বা দারচিনির গুঁড়ো একই ভাবে মাথার ত্বকের জন্য ভাল। তবে প্রাকৃতিক এই উপাদান দু’টির ভাল-মন্দ না বুঝে ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ, রান্নায় ব্যবহৃত এই ধরনের মশলা থেকে মাথার ত্বকে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিতেই পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে এই ধরনের জিনিস ব্যবহার না করাই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy