স্বাস্থ্যসচেতন অথচ চিয়া বীজের নাম শোনেননি, এমন মানুষ প্রায় নেই বললেই চলে। হার্ট, লিভার, পাকস্থলী থেকে জটিল শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া— সবেতেই চিয়ার ভূমিকা রয়েছে। ত্বক, চুলের যত্নেও পাশে রয়েছে চিয়া। জলে ভিজিয়ে বা খাবারের সঙ্গে চিয়া মিশিয়ে সকাল শুরু করেন অনেকেই। তবে কেশচর্চা শিল্পীরা বলছেন, আলাদা করে চুলের যত্ন নিতে চিয়া বীজ শুধু খেলেই হবে না, মাখতেও হবে।
আরও পড়ুন:
চুলের জন্য চিয়া কেন উপকারী?
১) চিয়া বীজে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। এই উপাদানটি যেমন হার্টের জন্য ভাল, তেমনই চুলের এবং মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই তেল মাখলে মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল ভাল হয়।
২) চিয়ায় প্রোটিনের মাত্রা বেশি। চুলের গোড়া মজবুত করার জন্য প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষতিগ্রস্ত, নিষ্প্রাণ চুল ঝলমলে হয়ে ওঠে চিয়ার তেল মাখলে।
৩) অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের সম্ভার রয়েছে চিয়ায়। শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের প্রভাবে চুলের যে ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, তা রুখে দেওয়া যায় এই বীজের তেল মাখলে। অকালপক্বতা রোধ করতেও এই তেল বেশ কার্যকরী।
৪) মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে চিয়ার তেল। ফলে খুশকি, সংক্রমণজনিত অস্বস্তি দূর হয়। চুল পড়ার পরিমাণ কমে।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে তৈরি করবেন চিয়ার তেল?
ঘানিতে যে পদ্ধতিতে বীজ থেকে তেল নিষ্কাশন করা হয়, তা যথেষ্ট ঝক্কির। বাড়িতে তেমন ভাবে চিয়ার তেল তৈরি করা সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলে চিয়া বীজ ফুটিয়ে নেওয়া যেতে পারে। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে বা হালকা গরম থাকতে থাকতেই মাথায় ওই তেল মেখে ফেলা যেতে পারে। ৫-১০ মিনিট মাসাজ করে রেখে দিন। আধ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।