পুজোর আগে চুলে জেল্লা ফেরাতে কোন তেল মাখবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
পুজো এসে গেল প্রায়। আর ক’টা দিনই বাকি। রুক্ষ, শুষ্ক চুলকে তরতাজা করে তোলার জন্য কতই না কসরত করছেন। নেট মাধ্যম খুঁজে, বন্ধু-সহকর্মীদের জিজ্ঞাসা করে যা মনে হচ্ছে চুলে মেখে ফেলছেন। কিন্তু তাতে লাভ বিশেষ হচ্ছে কি? চুল নরম রাখতে রাতে শোয়ার আগে মাথায় তেল মাখেন অনেকে। কিন্তু কী ধরনের তেল মাখছেন তা-ও জরুরি। সব তেল কিন্তু সকলের চুলের জন্য সঠিক নয়। মাথার ত্বকের ধরন বা সমস্যা বুঝে সঠিক তেল নির্বাচন করতে না পারলে চুল উঠবেই। চুলে চিটচিটে ভাবও হবে। তার চেয়ে বরং জেনে নিন কোন তেল মাখলে চুলের সব সমস্যা বশে থাকবে। মাথার ত্বকের ধরন অনুযায়ী তেল বেছে নিতে হবে।
কোন চুলের জন্য কেমন তেল?
১) রুক্ষ চুলের জন্য বাছুন নারকেল তেল। যদি চুল খুব শুষ্ক হয় এবং ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা থাকে, তা হলে নারকেল তেলই আদর্শ। একটু গরম করে তেল ভাল করে মাথায় মালিশ করে নিতে হবে। ঘণ্টা খানেক পরে শ্যাম্পু করে নেবেন।
২) রুক্ষ চুল, খুশকির সমস্যা থাকলে ব্যবহার করা যেতে পারে রোজ়মেরি অয়েল। রোজের যে তেল মাথায় মাখেন, তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে নেবেন রোজ়মেরি তেল। নিয়মিত চুলে মাখলে খুব তাড়াতাড়ি খুশকি দূর হবে। চুল হবে নরম ও জেল্লাদার।
৩) চুল নিষ্প্রাণ হয়ে গেলে এবং মাথার ত্বকে চুলকানির সমস্যা থাকলে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ কাঠবাদামের তেল খুবই কার্যকরী হতে পারে। ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর কাঠবাদামের তেল। যাঁরা চুলে খুব ঘন বা ভারী তেল মাখতে পছন্দ করেন না, তাঁদের জন্য কাঠবাদামের তেল উপকারী।
৪) চুলে দামি তেল বা শ্যাম্পু মেখেও ডগা ফাটার সমস্যা কমছে না? চুল একটু বাড়লেই ডগা ফেটে যাচ্ছে। তা হলে অল্প পরিমাণ আর্গান তেল হাতের তালুতে নিয়ে ভাল ভাবে মালিশ করুন চুলে। শ্যাম্পু করার আগেও অল্প পরিমাণে এই তেল চুলে মালিশ করে নিতে পারেন। এতে শ্যাম্পুর পরও চুল নরম থাকবে।
৫) পাতলা চুল এবং চুল পড়ার সমস্যায় কাজে লাগাতে পারেন ক্যাস্টর তেল। তবে রাতারাতি ফলের আশা করা কিন্তু বৃথা। অন্তত মাস তিনেক সময় দিতে হবে। নিয়মিত অল্প পরিমাণ বিশুদ্ধ ক্যাস্টর তেল মাথার তালুতে লাগিয়ে হালকা হাতে মালিশ করুন। চুল খুব চটচটে মনে হলে পর দিন শ্যাম্পু করে নিতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy