ষষ্ঠী থেকেই পুজোর সকালগুলিতে নতুন শাড়ি পরবেন, ভেবে রেখেছেন। যেহেতু সকালের সাজ, তাই বেশি চড়া মেকআপ ভাল লাগবে না। রোদে ঘোরাঘুরি করতে হবে, ফলে ঘাম হবে। বেশি মেকআপের বোঝা চাপালে তা গলতে শুরু করবে। তখন পুরো সাজটাই মাটি হবে। তাই পুজোর দিনগুলিতে সকালের সাজ হতে হবে হালকা ও ছিমছাম। রূপটানও হবে সেই অনুযায়ীই। তা হলেই সতেজ ও ফুরফুরে দেখাবে।
চড়া মেকআপ অনেকেই পছন্দ করেন না। আর এখন কমবয়সিদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে ‘ন্যুড মেকআপ’। মেকআপে কোনও উজ্জ্বল রঙের ব্যবহারই হবে না। ত্বকের রঙের সঙ্গেই মানানসই হবে রূপটান। চটকদার রঙের বদলে ঠোঁটে থাকবে হালকা রঙের কোনও লিপ বাম বা লিপ জেল। তাতেই হয়ে উঠবেন মোহময়ী। তেমন মেকআপ কী ভাবে করবেন, রইল কিছু টিপ্স।
পুজোর সকালের রূপটান কেমন হবে?
নো মেকআপ লুক
নো মেকআপে হালকা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে হালকা হাইলাইটার ব্যবহার করা হয়, সঙ্গে থাকবে ম্যাট লিপস্টিক। বেস মেকআপটাই হবে কেবল। চোখের পল্লবে থাকবে আইলাইনার, হালকা মাস্কারার ছোঁয়াও থাকবে।
ময়েশ্চারাইজ়ার ও সানস্ক্রিন
ফাউন্ডেশন মাখার আগে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতে হবে। মুখ ভাল করে ধুয়ে নিয়ে জেল দেওয়া কোনও ময়শ্চেরাইজ়ার ব্যবহার করলে ভাল হয়। এতে গরমে ময়েশ্চারাইজ়ার গলবে না। ঘাম বেশি হবে না। দিনের বেলা যেহেতু বেরোচ্ছেন, তাই এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন অবশ্যই লাগাতে হবে।
আরও পড়ুন:
স্পট কনসিলর
সারা মুখে কনসিলার নয়। কেবল মাত্র চোখের তলায়, ঠোঁটের চারপাশে কিংবা কালচে দাগ আছে এমন জায়গাতেই কনসিলার লাগিয়ে নিন। তার পর খুব সামান্য মাত্রায় সেটিং পাউডার দিয়ে মেকআপ সেট করে নিতে হবে। সারা মুখে ব্রোঞ্জার লাগানোর দরকার নেই, কপালের পাশে, চিকবোনে আর চোয়ালের হাড়ে অল্প করে ব্রোঞ্জার লাগাতে পারেন। তার পর ব্রাশ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে দিন।
আইশ্যাডোর হালকা টাচ
নো মেকআপ লুকে ধূসর ঘেঁষা বাদামি আইশ্যাডোই বেশি চলে। চোখ বড় আর উজ্জ্বল দেখাতে নীচের পাতায় ন্যুড শেডের আইলাইনার পরতে পারেন।
ঠোঁটের মেকআপ
ন্যুড শেডের লিপস্টিক ও গ্লস লাগিয়ে নিলেই আপনার নো মেক আপ লুক তৈরি। তবে এ ক্ষেত্রে ম্যাট নয়, হালকা গ্লসি লিপ শেড ব্যবহার করুন। মেক আপ শেষে ফের সেটিং স্প্রে লাগিয়ে নিন। লিপস্টিক না লাগাতে চাইলে লিপ বামও লাগাতে পারেন। লিপ টিন্ট বা টিন্টেড লিপ বাম মাখতে পারেন। আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি ঠোঁটে গোপালি আভাও থাকবে।