রোজের ব্যস্ততায় ত্বকের যত্ন নেওয়া হয় না। দিনভরের ক্লান্তি, ধুলোময়লা, অপছন্দের দাগে মুখ যেন হারিয়ে ফেলে তার স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য। তবে অনুষ্ঠান বাড়ি বা পার্টিতে তো অজুহাত খাটে না। সেখানে নজর কাড়তে চাই একদম সঠিক ও নিখুঁত মেকআপ। মুখের গড়ন, রং ও ব্রাশের ঠিকঠাক ধারণা না থাকলে, ব্লাশার লাগানো নিখুঁত হয় না। ফলে রং হয় খুব গাঢ় হয়ে যায়, না হলে ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই হয় না। তাই ব্লাশ কেনার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখতেই হবে।
ত্বকের রং অনুযায়ী
গায়ের রং ফর্সা হলে গোলাপি শেডের ব্লাশার ব্যবহার করুন। এই শেডের ব্লাশ পরলে মোটেই চড়া দেখাবে না, বরং অনেক বেশি উজ্জ্বল লাগবে। কোরাল, পিচ করে ব্লাশও ব্যবহার করতে পারেন।
উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ রং হলে একটু গাঢ় শেডের গোলাপি মন্দ লাগবে না। পিচ রঙের ব্লাশারও মানাবে। যাঁদের গায়ের রং খুব উজ্জ্বল নয় আবার চাপাও নয়, তাঁরা হালকা গোলাপি ব্লাশার ব্যবহার করতেই পারেন।
আরও পড়ুন:
গায়ের রং খুব চাপা হলে খয়েরি, লাল বা কমলা রঙের উজ্জ্বল ব্লাশার ব্যবহার করতে পারেন।
কী ধরনের ব্লাশার কিনবেন?
টিন্ট ব্লাশ খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। তাই এটি খুব দ্রুত লাগাতে হয়। ঠিকমতো লাগালে যতক্ষণ না মুখ ধোওয়া হবে, ব্লাশারের আভা লেগে থাকবে।
বিকেলের মেকআপের জন্যই বাছা হয় শিমার। কপালে, চোখের পাতার উপরের অংশে, চোখের কোণে শিমার লাগাতে পারেন।
শ্যামবর্ণাদের জন্য ব্রোঞ্জারস বেশি ব্যবহার করা হয়। ট্যান লুক করার জন্য এটার চল আছে।
ব্লাশার স্থায়ী করার জন্য, ফাউন্ডেশন ভিজে অবস্থায় থাকার সময়ে ক্রিম ব্লাশ লাগান। তার পর দুটোকে ভাল করে মিশিয়ে তার উপর গুঁড়ো পাউডার লাগান।
শুষ্ক ত্বকের জন্য ব্লাশার ক্রিম খুব ভাল। মেকআপে পাউডার লাগানোর আগে বেসের উপরে লাগান ক্রিম ব্লাশার। আঙুল দিয়েই লাগিয়ে নিতে পারেন।