বাহুমূল নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে? হাতকাটা পোশাক পরায় সায় দেয় না মন? সঠিক নিয়ম মেনে বাহুমূল পরিষ্কার রাখলেই কিন্তু শরীর নিয়ে আর সমস্যা থাকবে না। গরমকালই খোলামেলা পোশাক পরার জন্য উপযুক্ত। কিন্তু এই ঋতুতেই ঘাম হয় বলে বাহুমূল নিয়ে অস্বস্তিতে থাকেন অনেকে। কিন্তু পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সামাজিক পরিসরে বিব্রত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
গরমে অতিরিক্ত ঘামের কারণে দুর্গন্ধ বেরোয় বাহুমূল থেকে। তা ছাড়া এই ঋতুতে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে ত্বকে র্যাশ হতে পারে। বাহুমূলের ত্বকেও বিভিন্ন কারণে জ্বালা ভাব অনুভূত হয়। বাহুমূলের ত্বক শরীরের অন্যান্য অংশের ত্বকের চেয়ে বেশি নরম এবং সংবেদনশীল। তাই পরিষ্কার করার সময়ে বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। যদি মনে করেন, বলপ্রয়োগ করলে বেশি পরিমাণে ময়লা বেরিয়ে যাবে, তা মোটেও ঠিক নয়।

বাহুমূলের ত্বক শরীরের অন্যান্য অংশের ত্বকের চেয়ে বেশি নরম এবং সংবেদনশীল। ছবি: সংগৃহীত।
বাহুমূল পরিষ্কার করার সময়ে কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে?
১. স্নানের সময়ে মৃদু, পিএইচ-এর মাত্রা নিয়ন্ত্রিত সাবান বা বডি ওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। তার পর ধুয়ে ফেলতে হবে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে।
২. এই ধাপটিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জল দিয়ে ভাল করে না ধুলে ঘাম, তেল, ধুলো-ময়লা বা ডিয়োডোর্যান্টের অবশিষ্টাংশ থেকে যেতে পারে। তাই ভাল করে সাবান দিয়ে ফেনা তৈরি করে জল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
৩. গোটা প্রক্রিয়াটি হাত দিয়ে অথবা নরম কাপড় দিয়ে করতে পারেন। কিন্তু পুরনো লুফা বা রুক্ষ হয়ে যাওয়া কাপড় ব্যবহার করা চলবে না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। হয়, ত্বকে জ্বালা শুরু হয়ে যাবে, নয়তো অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এমন কিছু হলে, সারা রাত ভারী ক্রিম মেখে রেখে দিলে সকালে রেহাই পেতে পারেন।
৪. স্নানের পর ডিয়োডোর্যান্ট বা লোশন ব্যবহার করতে চাইলে ভাল করে শুকিয়ে নিতে হবে বাহুমূল।
৫. বাহুমূলের লোম অপসারণ করার বিষয়টি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। বাহুমূলের সৌন্দর্যের সংজ্ঞা আর লোম থাকা না থাকার উপর নির্ভর করে না। কিন্তু লোম থাকলে পরিষ্কার করার সময়ে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। উপরোক্ত ধাপগুলি ছাড়াও আর একটি ধাপ যুক্ত হবে। তা হল, এক্সফোলিয়েশন। লোমহীন বাহুমূলের তুলনায় লোমযুক্ত বাহুমূলে ঘাম বেশি হয়। ফলে দুর্গন্ধও বেশি ছড়ায়। তাই সপ্তাহে দু’বার বাহুমূল এক্সফোলিয়েট করা উচিত।