তেল মালিশ করছেন, নিয়ম মেনে শ্যাম্পু-কন্ডিশনারও মাখছেন। তবুও মিটছে না চুলের সমস্যা? ডগা ফাটা, রুক্ষ চুলের সমস্যা রয়েই যাচ্ছে? সমস্যা রূপচর্চা নয়, থাকতে পারে খাবারেও। স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য যেমন পুষ্টিকর খাবারের দরকার, তেমনই ত্বক, চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও ভিটামিন, খনিজ জরুরি। কিন্তু অনেক সময়ই কাজের চাপে নিয়ম করে খাওয়া যায় না। বাদ পড়ে যায় পুষ্টি।
এ ক্ষেত্রে মুশকিল আসান করতে পারে হেল্থ শট। ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর ফল, সব্জির রস দিয়ে বানানো হয় এই ধরনের শট। চুলের যত্নে বেছে নিতে পারেন এমনই তিন উপাদান। আমলকি, অ্যালো ভেরা চুলের জন্য ভাল। সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন সজনেপাতাও।
কেন এই তিন উপাদান বাছাই করবেন?
আমলকি: ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর আমলকি। চুলের অন্যতম উপাদান কোলাজেন নামক প্রোটিন উৎপাদনে সহায়ক ভিটামিন সি। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট চুলের জেল্লা ফেরাতে, অকালপক্বতা রোধে সাহায্য করে। খুশকির সমস্যা কমাতেও কার্যকর আমলকি।
অ্যালো ভেরা: চুলকে ময়েশ্চারাইজ় করতে সাহায্য করে অ্যালো ভেরা। রুক্ষ ভাব দূর করতেও এই উপাদান কার্যকর। এতেও রয়েছে ভিটামিস সি, বি১২। ফ্যাটি অ্যাসিড, খনিজ। রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদানও, যা ডগা ফাটা, রুক্ষ চুলের সমস্যা দূর করতে সহায়ক।
সজনেপাতা: সজনে গাছের পাতাও পুষ্টিগুণে ভরপুর। ভিটামিন এ, ই, সি, বি পাওয়া যায় এই গাছের পাতায়। জিঙ্ক, আয়রনেও ভরপুর এই পাতা। চুল ঝরা রোধ করতে, মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, চুলের ফলিকল মজবুত করে চুল পড়া রুখতে এই সমস্ত উপাদানই কার্যকর।
আমলকি, অ্যালো ভেরা, সজনেপাতার শট কী ভাবে বানাবেন?
২ টেবিল চামচ আলমকির রস
১ টেবিল চামচ সজনেপাতার গুঁড়ো
১ টেবিল চামচ অ্যালো ভেরার রস
এই তিন উপকরণ একসঙ্গে যোগ করে ঈষদুষ্ণ জল বা নারকেলের জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারে। শটের বৈশিষ্ট্য হল এক চুমুকে শেষ করা। সুতরাং পরিমাপও তেমনই হবে।
নিয়মিত সকালে এই শট খেলে শুধু চুলের স্বাস্থ্যই ভাল হবে না, ভিটামিন সি-এর গুণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। যে কোনও স্বাস্থ্যকর শট নিয়মিত খাওয়ার আগে পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া ভাল।