কায়দা করে চুল খুলে বন্ধুদের সঙ্গে বেরোলেন। কিন্তু ঘণ্টাখানেক যেতে না যেতেই চুল হয়ে গেল কাকের বাসা। সিরাম মেখেছেন। তেলও মালিশ করেছেন। কিন্তু কাজ হয়নি। এমন চুলের হাল ফেরাতে এ বার মাখুন ক্রিম। না মুখে মাখার ক্রিম নয়, চুলের যত্নে বহু দিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে, এমন উপকরণ দিয়েই বানিয়ে ফেলুন সেটি।
উপকরণ
মেথি
চাল ভেজানো জল
নারকেল তেল
মেথি: ভিটামিন এ, বি, সি, কে, প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ফসফেট, ফলিক অ্যাসিড, স্যাপোনিন্স এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ মেথি চুল ঝরা রোধে, খুশকি কমাতে সাহায্য করে। মেথির গুণে চুল নরম এবং মসৃণ হয়।
চালের জল: শোনা যায়, ভাতের ফ্যান, চালের জলের ব্যবহারে চুলের যত্ন নেওয়া হত চিন, জাপানের মতো দেশে। চালের পু্ষ্টিগুণেই চুল হয়ে উঠত লম্বা। তা ছাড়া, চাল ভেজানো জলে যে স্টার্চ জাতীয় উপাদান থাকে, তা চুলের উপর এক মসৃণ আস্তরণ তৈরি করে। দূর করে রুক্ষ ভাব।
নারকেল তেল: চুলের যত্নে নারকেল তেলের ব্যবহার ভারতে বহু পুরনো। ফ্যাটি অ্যাসিড, খনিজ সমৃদ্ধ নারকেল তেল চুলের বাড়বৃদ্ধির জন্য পুষ্টি জোগায়, একই সঙ্গে আর্দ্রতাও বজায় রাখে।
আরও পড়ুন:
ক্রিম তৈরির পদ্ধতি
২ টেবিল চামচ মেথি এবং চাল ধুয়ে রাতভর জলে ভিজিয়ে রাখুন। চাল এবং মেথি জল শুষে ফুলে উঠবে। দুই উপকরণ মিক্সারে ঘুরিয়ে যোগ করুন ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল। তিন উপকরণের মিশেলে সাদা ঘন ক্রিম তৈরি হবে।
ব্যবহার বিধি
চুল শ্যাম্পু করে তোয়ালে দিয়ে মুছে দিন। বড় দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল হালকা করে আঁচড়ে নিন। সিঁথি কেটে গোড়া থেকে আগায় মিশ্রণটি ভাল করে লাগিয়ে নিন। মিনিট পাঁচেক হালকা হাতে মাসাজ করে মিনিট ১৫ রেখে দিন। তার পরে ঈষদুষ্ণ জলে চুল খুব ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। তার পরে ব্যবহার করুন কন্ডিশনার।
প্রথম দিকে মাসে তিন থেকে চার বার ব্যবহার করুন। অন্তত ২-৩ মাস টানা এই ক্রিম মাখলে ধীরে ধীরে চুলের ঘনত্ব বাড়বে, চুল মোলায়েম হবে। এক বার ব্যবহারেই চুল কিছুটা হলে নরম হবে।
তবে যে কোনও মাস্ক বা ক্রিম, তা প্রাকৃতিক জিনিসে তৈরি হলেও প্যাচ টেস্ট জরুরি। চুলের একটি অংশে প্রথম বার লাগিয়ে মিনিট ২০ অপেক্ষা করুন। সেই অংশটি না চুলকালে বা অস্বস্তি না হলে সমস্যা নেই। কিন্তু যদি তেমন কিছু হয়, তা হলে বুঝতে হবে, এই ক্রিম আপানার চুলের উপযোগী নয়।