পুদিনার নির্যাস দিয়ে তৈরি বড়ি হজমের গোলমাল সারায়। অনেকে ত্বকের যত্নেও ব্যবহার করেন এই ভেষজটি। তবে চুলের যত্নেও পুদিনার ব্যবহার করা হয়।
মাথার ত্বকে অস্বস্তি, খুশকি দূর করতে পুদিনার রস ব্যবহার করার চল ছিল প্রাচীন কালে। তবে তার নেপথ্যে বৈজ্ঞানিক কোনও তথ্যপ্রমাণ ছিল না। পরে এই নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পুদিনার নির্যাস মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ‘অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়া’ নিরাময়ে যা বিশেষ ভাবে কার্যকর।
আরও পড়ুন:
২০১৪ সালে প্রকাশিত ‘টক্সিকোলজিক্যাল রিসার্চ’ গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, নিয়মিত পুদিনার তেল ব্যবহারে মাথায় ফলিকলের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে এই উপাদানটি। তা ছাড়া ভাল চুল পাওয়ার জন্য আগে মাথার ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। স্ক্যাল্পে কোনও সংক্রমণ হলে চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ কিন্তু বেড়ে যেতে পারে। কেশচর্চা শিল্পীরা বলছেন, পুদিনার তেলে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। তাই এই ধরনের সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
কী ভাবে পেপারমিন্ট অয়েল ব্যবহার করবেন?
নারকেল, অলিভ বা তিলের তেলের সঙ্গে ২-৩ ফোঁটা পুদিনার তেল মিশিয়ে নিন। চাইলে তেল হালকা গরম করে নিতে পারেন। এ বার মাথার ত্বকে এই তেল ভাল করে মেখে নিন। পুরো মাথায় তেল মাখতে না চাইলে মাথার ত্বকের যে অংশ থেকে অতিরিক্ত চুল উঠছে, শুধুমাত্র সেখানে তেল মেখে নিন। ৫-১০ মিনিট মাসাজ করুন। আধ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন এই টোটকা মেনে চললে নতুন করে চুল গজাবে।
আরও পড়ুন:
তেল মাখতে পছন্দ করেন না অনেকে। অনেকের আবার তেল মাখলে উল্টে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে অ্যালো ভেরা পাতার টাটকা শাঁস বা জেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা পেপারমিন্ট অয়েল মিশিয়ে মাখতে পারেন। তাতেও কাজ হবে। তবে এই অয়েল কিন্তু সরাসরি মাথার ত্বকে মাখতে যাবেন না। হিতে বিপরীত হতে পারে। নারকেল বা অলিভ অয়েলে মেশানোর সময়ে পেপারমিন্ট অয়েলের পরিমাণ নিয়েও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।