পুজোর জন্য ত্বকের চর্চা শুরু করেছেন অনেকেই। কেউ ঘরোয়া নানা পদ্ধতিতে ভিটামিন কিংবা খনিজ সমৃদ্ধ ফেসপ্যাক মাখছেন। কেউ ব্যবহার করছেন স্ক্রাবার। এতে মুখের ত্বকের মৃতকোষ দূর হচ্ছে বটে কিন্তু নাকের উপরের হোয়াইট হেডস থেকে মুক্তি মিলছে কি?
ত্বকের জেল্লা যদি বৃ্দ্ধি করতে হয়, তবে সবার আগে নজর দেওয়া উচিত মুখে জমে থাকা ময়লা দূর করার দিকে। না হলে বাইরে থেকে যতই ঝকঝকে সুন্দর হোক মুখ, কাছ থেকে দেখলেই চোখে পড়বে নাকের উপর সাদা সাদা ফুলে ওঠা রোমকূপ।
যাঁদের তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা তাঁরা এমন দৃশ্য প্রায়ই দেখতে পান আয়নার দিকে তাকালে। মুক্তির উপায় কী? নাক থেকে হোয়াইটহেডস পরিষ্কার করার তিনটি সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়মিত অনুসরণ করলে ভাল ফল পেতে পারেন।
১. গরম জলের ভাপ নিয়ে
হোয়াইটহেডস পরিষ্কার করার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতিগুলোর মধ্যে অন্যতম এটি। গরম জলের ভাপ ত্বকের রোমকূপ খুলে দেয়, ফলে ময়লা ও হোয়াইটহেডস বের করা সহজ হয়।
একটি বড় পাত্রে গরম জল নিন। এবার একটি তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে পাত্রের উপর ঝুঁকে বসুন, যাতে গরম জলের ভাপ আপনার মুখের ত্বকে লাগে। এভাবে ৫-১০ মিনিট ভাপ নিন। ভাপ নেওয়ার পর, একটি নরম সুতির কাপড় বা হালকা স্ক্রাব (চিনি এবং মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন) দিয়ে নাকের উপর আলতো করে ঘষুন। ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন, যাতে লোমকূপগুলো আবার বন্ধ হয়ে যায়।
২. ডিমের সাদা অংশের মাস্ক
ডিমের সাদা অংশ ত্বকের জন্য খুব ভালো কাজ করে। এটি ত্বক টানটান করে এবং লোমকূপ থেকে ময়লা টেনে বের করতে সাহায্য করে।
একটি ডিম ভেঙে তার সাদা অংশটি আলাদা করে নিন। সাদা অংশটি একটি কাঁটাচামচ দিয়ে ফেটিয়ে নিন। এবার এটি একটি ব্রাশ বা আঙুলের সাহায্যে নাকের উপর পুরু করে লাগান। ২০-২৫ মিনিট রেখে দিন, যতক্ষণ না মাস্কটি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে গেলে আলতো করে টেনে তুলে ফেলুন। এটি হোয়াইটহেডসকে টেনে বের করে আনবে। এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
৩. দারচিনি এবং মধুর পেস্ট
দারুচিনি এবং মধু উভয়ই অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণসম্পন্ন, যা হোয়াইটহেডস দূর করতে সাহায্য করে।
এক চামচ শুকনো দারচিনি গুঁড়োর সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি নাকের উপর ভালো করে লাগিয়ে দিন। ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন।এরপর আলতো করে ঘষে ঘষে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি হালকা স্ক্রাব হিসেবেও কাজ করবে।
সতর্কতা
তবে, এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করার আগে, আপনার ত্বকে কোনও অ্যালার্জি আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিন। প্রথমে হাতের ত্বকের একটি ছোট অংশে লাগিয়ে দেখে নিন। অস্বস্তি না হলে তবেই মুখে ব্যবহার করুন। এ ছাড়া, যদি হোয়াইটহেডস খুব বেশি বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।