বছরভর অপেক্ষা থাকে একটি মাত্র দিনের। যে দিন মন ভরে রং খেলা যায়। হুল্লোড় করা যায়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার আনন্দের খেসারত যদি কয়েক মাস ধরে দিতে হয়, তখন আর সে আনন্দ থাকে কি?
ক্ষতিকর রাসায়নিক যুক্ত রং এবং আবির, কোনওটাই ত্বক এবং চুলের জন্য ভাল নয়। ভেষজ রং বলে যা বাজারে পাওয়া যায়, তার গুণমান নিয়েও প্রশ্ন থাকে। তা ছাড়া রং বা আবির যেমনই হোক, চুল এবং ত্বকের পক্ষে তা মোটেই ভাল নয়, বিশেষত তা যদি দীর্ঘ ক্ষণ ধরে মাথায় অথবা গায়ে লেগে থাকে। চুলের ধরন যাঁদের এমনিতেই রুক্ষ, ডগা ফাটার সমস্যা রয়েছে, ক্ষতিকর রাসায়নিকে তাঁদের চুলের বারোটা বাজতেই পারে।
আনন্দ-আহ্লাদ বজায় রেখে রং খেলতে চাইলে বরং আগাম চুলের যত্ন নিন। কয়েকটি কৌশল মেনে চলুন।
রং মাখার আগে চুলের যত্ন
১. রুক্ষ চুলে রং খুব চট করে ধরে যায়। ক্ষতিও বেশি হয়। সে কারণে দোল আসার আগে যে সময়টুকু
আরও পড়ুন:
পাচ্ছেন, রাতের দিকে হালকা করে তেল মালিশ করুন। বিশেষত রঙের উৎসবের আগের রাতে তেল মাখা খুব জরুরি। তেল এ ক্ষেত্রে চুলের বর্ম হতে পারে।
২. দোলের আগের রাতে তেল মাখলেও শ্যাম্পু করা যাবে না কোনও মতেই। মাথার ত্বক থেকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই তেল নিঃসৃত হয়। যা চুলকে ময়েশ্চারাইজ় করতে এবং ক্ষতিকর উপাদানের হাত থেকে বাঁচাতে পারে। শ্যাম্পু করলে সেই তেলও ধুয়ে বেরিয়ে যাবে। তার পর রং মাখলে চুলের ক্ষতি বেশি হবে।
৩. চুলে ভাল করে তেল মেখে রাখলে রং খেলার পর শ্যাম্পু করলে সহজে রং উঠে যাবে। শ্যাম্পু করা রুক্ষ চুল থেকে কিন্তু চট করে রং ওঠে না।
৪. রং খেললে যে চুলে ফাগ মাখতেই হবে, তা কিন্তু নয়। এখন দোলের জন্য রকমারি সাজসজ্জা বেরিয়েছে। পাওয়া যায় নানা রকম পরচুলা। তাতে যেমন স্টাইল করা যায়, তেমনই সরাসরি রং লাগার হাত থেকে কেশ বাঁচানোও যায়।
৫. যদি পরচুলা ব্যবহার করতে না চান, তা হলে অবশ্যই চুল ভাল করে বেঁধে নিন। এতে সমগ্র চুল হয়তো রঙের সংস্পর্শে আসবে না, ক্ষতি কিছুটা হলেও এড়ানো যাবে।
রং ধোয়ার উপায়
রং খেলার পর সম্ভব হলে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। এতে গুঁড়ো রং ঝরে যাবে। তার পর চুল ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়মিত যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন, সেটি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। রং তুলতে আগেকার দিনে অনেকেই কাপড় কাচার সাবান বা অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করতেন। এ সব কিন্তু ত্বক এবং চুলের জন্য ক্ষতিকর।