রং খেলা এক দিনের। কিন্তু কয়েকটি ঘণ্টা আনন্দ, উচ্ছ্বাসের জন্য নখ, চুল, ত্বকের ক্ষতি হওয়াটা কাম্য নয়। রাসায়নিক মিশ্রিত রঙের প্রভাব চুল এবং ত্বকে ক্ষতি নিয়ে লোকজন কিছুটা সচেতন হলেও, নখের জন্যও যে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন মনে করেন না অনেকেই। অথচ রঙে থাকা রাসায়নিকের প্রভাবে নখের কিউটিকল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তা ছাড়া নখে এক বার রং ধরে গেলে, বহু দিন পর্যন্ত তা রয়ে যায়। নখের কোণে জমে থাকা রং খাওয়ার সময় খাবারে মিশে গেলে তা থেকে ক্ষতি হতে পারে স্বাস্থ্যেরও।
রঙের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কী ভাবে বাঁচাবেন নখ?
নখে স্বচ্ছ বা গাঢ় রঙের নেলপলিশ পরে নিন। এতে রং সরাসরি নখের সংস্পর্শে আসবে না। আবার নখ রং লেগে রঙিন হবে না। উৎসব শেষ হলে ‘রিমুভার’ দিয়ে নেলপলিশ তুলে ফেললেই যেটুকু রং লাগবে তা উঠে যাবে।
আরও পড়ুন:
রং খেলতে যাওয়ার আগে নখের উপর নারকেল তেল, পেট্রোলিয়াম জেলি ভাল করে মেখে নিন। আঙুলে, হাতে মালিশ করে নিন। এতে রঙের পরত লাগলেও চট করে উঠে যাবে।
রং খেলার পরের যত্ন
· রং খেলার পর নখ পরিষ্কারের জন্য একটি ছোট্ট পাত্রে জল নিয়ে তাতে ত্বকের উপযোগী সাবান মিশিয়ে নিন। তাতে হাত ডুবিয়ে রাখুন। তবে গরম জল নয়, ঠান্ডা জলে নখ পরিষ্কার করুন।
· রং তোলার জন্য অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা ঠিক নয়। রং তোলার জন্য নরম ব্রাশ দিয়ে নখ ঘষে নিন। এক থেকে দু’বারে ঘষাঘষিতে যেটুকু উঠবে সেটাই যথেষ্ট। নখে আগাম নেলপলিশ না থাকলে, রং এক দিনে উঠবে না। সময় দিতে হবে।
· নারকেল তেল মেশানো জলে কিছু ক্ষণ আঙুল এবং নখ ডুবিয়ে রাখুন। তার পর পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিন। এতেও নখে লেগে থাকা রং পরিষ্কার হবে। সাবান ব্যবহারে ত্বক, নখ রুক্ষ হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এই পদ্ধতিতে তা হবে না। তেল-জলে রং উঠে যাওয়ার পর সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিন।
· বেসন নখে, আঙুলের ফাঁকে লাগিয়ে হালকা হাতে ঘষতে পারেন। এতেও নখের বাড়তি রং উঠে যাবে। রং লেগে থাকলে লম্বা নখ কেটে ফেলুন বা ছোট করে নিন। নখে লেগে থাকা রং খাওয়ার সময় খাবারে মিশলে পেটের অসুখ হতে পারে।