কলা খেয়ে কলার খোসা ফেলে দেওয়া হয় ঠিকই। তবে আপনার যদি চুল পড়া বা রুক্ষ্ম চুলের সমস্যা থাকে, তবে ওটি ফেলে না দিয়ে বাঁচিয়ে রাখুন।
কলার ফলে যতখানি পুষ্টিগুণ রয়েছে, তার খোসায় তার চেয়ে কিছু কম নেই। বরং কলার খোসায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা চুলের জন্য উপকারী। এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জুগিয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, চুল পড়ার সমস্যা কমিয়ে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
কলার খোসায় কী কী পুষ্টি রয়েছে?
আরও পড়ুন:
পটাশিয়াম: কলার খোসায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, যা চুলের ফলিকলকে মজবুত করে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট: এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি সরবরাহ করে, যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করতে পারে।
ম্যাগনেশিয়াম: এটি মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, যা চুলের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে।
ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন সি: এই ভিটামিনগুলো চুলের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং চুলের গঠনকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
ময়েশ্চারাইজ়ার: কলার খোসা প্রাকৃতিকভাবে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে, যা চুলের রুক্ষতা ও শুষ্কভাব দূর করে চুলকে মসৃণ ও নরম করে।
পিএইচ ভারসাম্য: কলার খোসা ভেজানো জল মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা চুলের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
কলার খোসা দিয়ে চুলের যত্ন
১. কলার খোসার জল
একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে এক বা দুটি কলার খোসা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। জল অর্ধেক হয়ে এলে আঁচ থেকে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে এই জল একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই জল চুলে স্প্রে করে প্রায় ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর সাধারণ জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করবে।
২. কলার খোসা ও নারকেল তেল
কয়েকটি কলার খোসা ছোট ছোট করে কেটে নিন। খোসাগুলো নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি মাথার ত্বক ও চুলে ভালো করে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি চুল পড়া কমাতে এবং চুলকে নরম ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।
৩. কলার খোসা, দই ও মধু
কয়েকটি কলার খোসা ব্লেন্ডারে বেটে নিন। তার সঙ্গে দই ও মধু মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। এটি মাথার ত্বক ও চুলে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। তার পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে মোলায়েম এবং উজ্জ্বল।
আরও পড়ুন:
সতর্কতা
যেকোনো প্রাকৃতিক উপাদান থেকেই ত্বকে বা চুলে অ্য়ালার্জি হতে পারে। তাই ব্যবহারের আগে সব সময় হাতের ত্বকে পরীক্ষা করে দেখুন। অস্বস্তি না হলে মাথায় মাখুন। অসুবিধা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।