ত্বক সুস্থ, সতেজ ও ঝলমলে রাখতে সাহায্য করে কোলাজেন। কিন্তু বয়সের সঙ্গে কোলাজেন উৎপাদন কমে যায়। তাই প্রয়োজন ভিটামিন সি’র। ত্বকের বলিরেখা ঠেকাতে, কালচে দাগছোপ হালকা করতে, ত্বক জেল্লা বৃদ্ধি করতে ভিটামিন সি-এর কার্যকারিতা বলে বোঝানোর নয়। এর সঙ্গে যদি গ্লিসারিন মেশানো হয়, তা হলে লাভ হয় অনেক বেশি। গরমের সময়ে যখন মুখে বেশি ক্রিম বা তেল ব্যবহার করা যায় না, তখন ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে গ্লিসারিন ও ভিটামিন সি দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন ফেসপ্যাক। এতে ত্বক নরম ও মসৃণও থাকবে, কালচে দাগছোপও পড়বে না।
ব্রিটিশ জার্নাল অফ ডার্মাটোলজি অনুসারে গ্লিসারিন ও ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ভিটামিন সি দূষণ, সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। দুই উপাদান একসঙ্গে মেশালে ত্বকের জেল্লা বহুগুণে বেড়ে যেতে পারে।
গ্লিসারিন ও ভিটামিন সি দিয়ে বানান ফেসপ্যাক
১) ২ চা-চামচ গোলাপ জল, ১ চামচ গ্লিসারিন ও ১টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিতে হবে। শিশিতে ভিটামিন সি’র গুঁড়ো আগে ঢেলে তার পর গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। ভিটামিন ই ক্যাপসুলটা ফুটো করে ওষুধটা চিপে বার করে নিন। তার পর গ্লিসারিন দিয়ে ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিন। রোজ রাতে শোয়ার আগে ভাল করে মুখ ধুয়ে, টোনার ব্যবহার করে সিরামটা লাগিয়ে নিন। তার পর ময়েশ্চারাইজ়ার লাগান। কিছু দিন ব্যবহারেই ত্বকের দাগছোপ উঠে যাবে।
আরও পড়ুন:
২) ২ চামচ গ্লিসারিনে ১ চামচ ভিটামিন সি পাইডার মিশিয়ে তার সঙ্গে এক চা-চামচ দই মেশাতে হবে। এই মিশ্রণ মুখে মেখে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তার পর পরিষ্কার জলে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিন দিন এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। এতে ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যাও দূর হবে।
৩) রোদে পোড়া দাগ তুলতে ব্যবহার করতে পারেন গ্লিসারিন ও লেবুর ফেসপ্যাক। এক চামচের মতো গ্লিসারিনের সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে তা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। প্রতি রাতে শোয়ার আগে এই প্যাকটি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে তার পর ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে নেবেন। এই ফেসপ্যাক ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেবে না।