গ্রিন টি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় তার ওজন কমানোর গুণের কারণে। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন আর খনিজে ভরপুর গ্রিন টি-র জুড়ি মেলা ভার। হার্টের সমস্যা থেকে ডায়াবিটিস, এক কাপ চিনি ছাড়া গ্রিন টি-তে চুমুক দিলেই জব্দ হয় রোগ-বালাই। তবে ত্বকের পরিচর্যাতেও এই চা দারুণ উপকারী।
গ্রিন টি ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র রাখে। ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে এই চা ব্যবহার করতেই পারেন। এই চা চামড়া কুঁচকে যাওয়া আটকায়। ব্রণর সমস্যা থেকেও রেহাই পেতেও এই চায়ের উপর ভরসা রাখতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গ্রিন টি-তে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। রোদে বেরোলেই অনেকের ত্বক লাল হয়ে যায়, জ্বালা করে। এ ক্ষেত্রেও গ্রিন টি-তেই হবে মুশকিল আসান। পুজোর আগে ত্বক পরিচর্যায় কী ভাবে ব্যবহার করবেন গ্রিন টি?
১) গ্রিন টি এবং মধু: দুই টেবিল চামচ গ্রিন টি-র সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে এই মিশ্রণ মুখে মেখে রাখুন। পুরো শুকোনোর প্রয়োজন নেই। মিনিট দশেক পর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য এই প্যাক খুবই ভাল।
২) গ্রিন টি এবং টক দই: দুই চা চামচ টক দইয়ের সঙ্গে এক চা চামচ গ্রিন টি-র গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিন। মিনিট কুড়ি পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় এই প্যাক খুব ভাল কাজ করে।
৩) গ্রিন টি এবং অ্যালো ভেরা: শীতকালে শুষ্ক আবার গরমকালে তৈলাক্ত— এমন ত্বকে জেল্লা আনতে গ্রিন টি গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে নিন অ্যালো ভেরার শাঁস। আধ ঘণ্টা মুখে রেখে ঈষদোষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন।
৪) গ্রিন টি এবং অলিভ অয়েল: অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকের সমস্যা হলে গ্রিন টি-র সঙ্গে মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল। মিনিট পনেরো মুখে এই মিশ্রণ মেখে রেখে দিন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫) গ্রিন টি এবং বেসন: যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা কিছুই মুখে মেখে রাখতে পারেন না। গ্রিন টি-র সঙ্গে বেসন এবং গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। মুখে জেল্লা ফেরানোর পাশাপাশি ব্রণের সমস্যাও দূর করে এই মিশ্রণ।