স্ক্রাব থেকে ক্রিম, সিরাম, লোশন— ত্বকের পরিচর্যায় প্রসাধনী অগুনতি।কিন্তু যখন বাজারচলতি এত প্রসাধনী আসেনি, মহিলাদের ভরসা ছিল শুধুই স্নো-পাউডার, তখন কী ভাবে রূপচর্চা হত? শোনা যায়, আগেকার দিনের রানি, রাজকন্যারা দুধে স্নান করতেন, গায়ে মাখতেন জাফরান, চন্দন। সেই সব রূপচর্চার উপকরণ কিন্তু এখনও প্রাসঙ্গিক। শুধু বদলে গিয়েছে তা প্রয়োগের ধরন। নামীদামী প্রসাধনীতেও মেশানো হচ্ছে দুধের সর, চন্দন, জাফরান। অন্তত সংস্থার দাবি তেমনই।
হাতের কাছে প্রাকৃতিক উপাদান মজুত থাকতে, দাম দিয়ে প্রসাধনী কিনবেন কেন? বাড়িতেই দুধের সর, চন্দন, জাফরান দিয়ে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে যেটি তৈরি হয়, সেটি এখন মাস্ক অথবা প্যাক বলে পরিচিত। জেনে নিন কী ভাবে মাখবেন দুধের সর?
আরও পড়ুন:
দুধ, হলুদ, বেসন: গরুর খাঁটি দুধের সর হলে সবচেয়ে ভাল। এই দুধের সরে ফ্যাট থাকে। ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে এবং রুক্ষ ত্বকে জেল্লা ফেরাতে তা খুবই কাজের। ১ টেবিল চামচ বেসন, ১ টেবিল চামচ কাঁচা হলুদ বাটার সঙ্গে ২ টেবিল চামচ দুধের সর মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে মেখে রাখুন। ১০ মিনিট পরে ত্বকে টান ধরলে জলের ঝাপটা দিন। হালকা হাতে মালিশ করে ধুয়ে ফেলুন। কালচে ভাব, শুষ্ক ত্বকে জেল্লা ফিরবে নিমেষে। মুখের ময়লা দূর হবে। ঘাড়, গলাতেই এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন কালচে ছোপ তুলতে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হবে উজ্জ্বল, সুন্দর।
দুধ, জাফরান এবং সর: ২ টেবিল চামচ উষ্ণ দুধে সামান্য একটু জাফরান মিশিয়ে রাখুন। ধীরে ধীরে জাফরান মিশে দুধ হালকা হলুদ হয়ে যাবে। এর মধ্যে মিশিয়ে দিন এক টেবিল চামচ দুধের সর। রুক্ষ এবং কালচে হয়ে যাওয়া ত্বকে এই মাস্ক বিশেষ কার্যকর। নিয়মিত মাখলে নিশ্চিত ভাবেই ত্বকের দীপ্তি ফিরবে। সপ্তাহে তিন দিন এ ভাবে রূপচর্চা করলেও কাজ হবে।
দুধের সর এবং চন্দন: ব্রণ, র্যাশ সারাতে চন্দন অত্যন্ত কার্যকর। ১টেবিল চামচ দুধ, ১ টেবিল চামচ দুধের সরের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ চন্দনবাটা মিশিয়ে মুখে মাখুন। চন্দনের গুঁড়োও ব্যবহার করা যায়। সপ্তাহে একে থেকে দুইবার ব্যবহারেই নিষ্প্রাণ ত্বকেও লালিত্য ফিরবে।