ত্বক এবং চুলের যত্নে নিমের গুরুত্ব অপরিসীম। নিমের অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিবায়োটিক গুণ ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ থেকে চুল এবং ত্বককে রক্ষা করে। কিন্তু এই নিমপাতা ব্যবহারেরও নিয়ম রয়েছে। জলের মধ্যে নিমপাতা ফুটিয়ে নিলেই কিন্তু তার সমস্ত গুণ বজায় থাকে না। তাই নিম দিয়ে ত্বকের পরিচর্যার কিছু নিয়ম আছে।
বর্ষার সময়ে ত্বক নিস্তেজ হয়ে যায়। জেল্লা কমে যায়। নিমপাতা জেল্লা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। ত্বকের দাগছোপ, অস্বস্তি দূর করতেও নিমপাতার জুড়ি মেলা ভার। এই সময়ে নানা রকম ছত্রাকের সংক্রমণও হয়। তার থেকে ত্বকে র্যাশ, ফুস্কুড়ি হতে পারে। সে ক্ষেত্রেও নিম উপযোগী।
নিমপাতা ময়েশ্চারাইজ়ার হিসাবেও ব্যবহার করা যায়। নিমপাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বক ভিতর থেকে কোমল এবং মসৃণ করে তোলে। বলিরেখা, মেচেতার সমস্যাও দূরে যায় নিমপাতা দিয়ে রূপচর্চা করলে।
নিম দিয়ে কী ভাবে রূপচর্চা করবেন?
নিমের তেল
নিমের তেল সরাসরি ত্বকে মাখবেন না। যে কোনও ক্যারিয়াল অয়েল যেমন নারকেল তেল, আমন্ড অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে ১:১ বা ১: ২ অনুপাতে। আগে হাতে লাগিয়ে দেখে নেবেন জ্বালা হচ্ছে কি না। যদি না হয়, তা হলে ব্রণ, ফুস্কুড়ি বা র্যাশের জায়গায় লাগিয়ে রাখতে পারেন। এগজ়িমা বা সোরিয়াসিসের সমস্যাতেও নিম তেল মাখলে জ্বালা, চুলকানি কমবে।
আরও পড়ুন:
নিম ও মুলতানি মাটি
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণর সমস্যা বেশি হয়। সে ক্ষেত্রে নিম পাতা বেটে তার সঙ্গে মুলতানি মাটি ও কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। এই প্যাক ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
নিম ও মধু
ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে গেলে নিম পাতা বাটার সঙ্গে মধু মিশিয়ে মাখতে পারেন। মধুর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ ত্বককে যে কোনও সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেবে। পাশাপাশি মধু প্রদাহনাশক। নিম-মধুর প্যাক সপ্তাহে তিন দিন মাখলেই ত্বক নরম হবে। জেল্লাও ফিরবে।
নিম ও দই
ত্বক নিষ্প্রাণ, রুক্ষ হয়ে গেলে ও দাগছোপের সমস্যা বাড়লে নিমের সঙ্গে দই মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন। নিম পাতা বাটার সঙ্গে দই ও কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে প্যাক। সপ্তাহে তিন দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে দাগছোপ উঠে যাবে। রোদে পোড়া দাগ তুলতেও এই প্যাকের জুড়ি মেলা ভার।