রক্তে শর্করা আচমকা বেড়ে যেতে পারে, আবার কমেও যেতে পারে। সুগারের ওঠানামা নিয়েই চিন্তায় থাকেন ডায়াবিটিসের রোগীরা। সাধারণত দেখা যায়, ভারী খাবার খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকা বেড়ে যায়। আবার রাতে ঘুমিয়ে ওঠার পরে সকালে হঠাৎ করেই সুগার কমে যেতে পারে। তাই সুগারের রোগীদের সর্ব ক্ষণ রক্তে শর্করার ওঠানামা পরিমাপ করতে হয়। হাতের কাছে রাখতে হয় ওষুধ বা ইনসুলিন ইঞ্জেকশন। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, ওষুধ বা ইনসুলিন নিয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সেই সময়ের জন্য। যদি সুগারের মাত্রা ১০০-র মধ্যে রাখতে হয়, তা হলে খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ যেমন জরুরি, তেমনই ব্যায়ামও দরকার। যোগাসনে এমন কিছু পদ্ধতি আছে, যা রোজ নিয়ম করে অভ্যাস করতে পারলে, সুগারের বাড়বৃদ্ধি বন্ধ হবে।
ডায়াবেটিকদের জন্য উপযোগী তিন আসন
বীরভদ্রাসন
প্রথমে দুই পা দু’দিকে পর্যাপ্ত ব্যবধানে রেখে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। এ বার দু’হাত কান বরাবর উপরের দিকে তুলে নমস্কারের ভঙ্গি করতে হবে। কোমর থেকে দেহের উপরিভাগ এক দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যে পাশে ঘুরছেন, সেই পাশের হাঁটু ধীরে ধীরে ভাঁজ করতে হবে। পিছনের পা ও শরীর সোজা রেখে উপরের দিকে তাকাতে হবে। ২০ সেকেন্ড করে ৩ সেটে করতে হবে এই ব্যায়াম।
বৃক্ষাসন
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে নিজের দু’টি হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে আনুন। শরীরের ভারসাম্য রেখে ডান হাঁটু ভাজ করে পায়ের পাতাটি বাম ঊরুর উপর রাখুন। মেরুদণ্ড সোজা রেখে নিজের হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে মাথার উপর নিয়ে যান । ৩০ সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে এক পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থেকে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসুন। পা বদল করে নিয়ে পুনরায় করুন।
আরও পড়ুন:
অর্ধ মৎসেন্দ্রাসন
ম্যাটের উপর বসে পা দু’টি টানটান করে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ বার বাঁ পা মুড়ে বাঁ হাঁটু ডান ঊরুর উপর রাখতে হবে। শরীর উপরের অংশ বাঁ দিকে ঘুরিয়ে বাঁ হাত ডান হাঁটুর উপর রাখুন। ডান হাত পিঠের দিক দিয়ে ঘুরিয়ে পায়ের পাতা ধরে রাখুন। এই ভঙ্গিতে ২০ সেকেন্ড থেকে আগের অবস্থানে ফিরে আসুন।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। সব আসনের ভঙ্গি সকলের জন্য নয়। হার্টের রোগ বা ক্রনিক কোনও অসুখ থাকলে, যোগাসন করার আগে প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিতে হবে।