রান্নায় গুঁড়ো হলুদ দেন। কাঁচা হলুদ মাখেন মুখে। প্রাচীন কাল থেকে এই উপাদানটির ব্যবহার রয়েছে আয়ুর্বেদে। দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার চল রয়েছে বিভিন্ন প্রদেশে। তবে কেশচর্চা শিল্পীরা বলছেন, চুলের জন্যও হলুদ সমান ভাবে উপকারী। তা হলে মাথায় হলুদ মাখলে চুল পড়াও কমতে পারে?
হলুদ আসলে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ। এই উপাদানটি মাথার ত্বকে সংক্রমণজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। শুধু কি তাই? মাথার ত্বকে পিএইচের সমতা বজায় রাখতেও সহায়তা করে। যাঁদের মাথার ত্বক অতিরিক্ত তেলতেলে, তাঁদের জন্যও হলুদ ভাল। চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বেড়ে গেলে চুলে তার প্রভাব পড়ে। চুল পড়া, মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। হলুদে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় এই ধরনের সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে। চুলের ফলিকল মজবুত করতেও সাহায্য করে এই উপাদানটি। অনেকের মাথার ত্বকে ব্রণ হয়। প্রদাহজনিত সমস্যার জন্যও অনেকের চুল পড়ে। হলুদ কিন্তু এই সব সমস্যা একাহাতে সামলে দিতে পারে।
আরও পড়ুন:
সকলেই কি মাথার ত্বকে হলুদ মাখতে পারেন?
মাথার ত্বকে সরাসরি হলুদের ব্যবহার নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যেও বিভ্রান্তি রয়েছে। হলুদের ভাল দিকটা সকলে জানেন। চর্মরোগ চিকিৎসক সুরজিৎ গরাই বলছেন, “প্রাকৃতিক জিনিস মানেই তা নিরাপদ, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। হলুদ কিন্তু ভীষণ ভাবে অ্যালার্জিপ্রবণ। তাই মাথার ত্বকে মাখলে হিতে বিপরীত হতে পারে। চুল পড়ার পরিমাণ উল্টে বেড়ে যেতে পারে।”
কী ভাবে মাথার ত্বকে হলুদ মাখা যায়?
সরাসরি মাথার ত্বকে কাঁচা হলুদ মাখতে হলে আগে ‘প্যাচ টেস্ট’ করিয়ে নেওয়া জরুরি। প্রাকৃতিক এই উপাদানটি সরাসরি না মেখে তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাখা যায়। তেলের বদলে টক দই বা মধুর সঙ্গে মিশিয়েও হলুদ মাখা যায়।